× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাধারণের ভোট ভাবনা

শেষের পাতা

মারুফ কিবরিয়া
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরকার গঠনের কথা শোনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা হবে- এমনটাও শোনা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন সাধারণ মানুষ? রাজধানীর হাতিরঝিলের পাশের একটি চা দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন অনেকেই। যেখানে আলোচনা নির্বাচন। একেক জনে একেক কথা বলছেন। সেখানে বসা সবজি ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া আলোচনায় যোগ দিয়ে বলেন, দেশে তো এখন ভোট হয় না। অনেকেই ভোট দিতে পারে না।
বিরোধী লোকদের ভোটের সময় মাঠে নামতে দেয় না।
কেন্দ্রে গিয়া ভোট দিতে পারে না। আবার দেখা যায় তার ভোট অন্য কেউ আইসা দিয়া গেছে। কিছু জিজ্ঞাসা করলে মাইর দিয়া বাড়িত পাঠাইয়া দেয়। গত নির্বাচনের কথা টেনে মিন্টু মিয়া বলেন, আমার বাড়ি চাঁদপুর মতলব থানায়। গতবার নির্বাচনের সময় বাড়িতে ছিলাম।

আওয়ামী লীগ থেইকা বিনা ভোটে এমপি হইছে। আমরা ভোট দিতে পারি নাই। বাড়ির সবাই ভোট দিতে গিয়া ফিরা আইছে। কেন্দ্রে যাইয়া শুনি আমাগো ভোট নাকি হইয়া গেছে। মন খারাপ লাগছে। এত আশা কইরা ভোট দিতে গেলাম। এইখানে দেখেন, আমগো সাধারণ মানুষের অধিকার নাই। ভোট দেয়া তো আমাগোই অধিকার। তাইলে সেই অধিকার কই? আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মিন্টু মিয়া বলেন, আমরা সব সময় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যেমন কইরা বুঝ হওয়ার পর থেইকা ভোট দিছি। এই নির্বাচনেও এমন দেখতে চাই। এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোদিন হয় নাই। এবারও সম্ভব না। জনগণ নিরাপদে একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই ভোট দিতে পারে। সাধারণ মানুষ হিসাবে আমি এটা কইতে পারি, বিএনপি-আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক না আসুক সেটা নিয়া আমার কোনো মাথাব্যথা নাই। কিন্তু মানুষ ভোট দিতে পারে না অনেক বছর। ভুইলা গেছে ভোটের কথা। তাই মানুষ যেন ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা দরকার।

সবজি বিক্রেতা হলেও মিন্টু মিয়া দেশের খবরাখবর রাখেন। তিনি পত্রপত্রিকা-টেলিভিশনে খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন কখন দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তারা কারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। সেই গল্প করতে গিয়ে মিন্টু মিয়া বলেন, টেলিভিশনে খবর দেখি। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার কইরা দিছে। নেতারা একেকজন শত শত কোটি টাকার মালিক হইয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণ চুরি হইয়া যায়, কয়লা চুরি হইয়া যায়। সেখানে বসা সিএনজি অটোরিকশা চালক মজনু মিয়া বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হউক। সবাই আনন্দ কইরা ভোট দেউক। এইটা আমরা চাই। এমন পরিবেশ করতে হবে নির্বাচনের জন্য।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর