× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাবি সাদা দলের মানববন্ধন / সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়

দেশ বিদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন, সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। সরকার ভয় করে এখন তারেক রহমান ও তার জনপ্রিয়তাকে। তারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে না তারেক ভীতিতে। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া পরিবারের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সাদা দল। সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, সাদা দলের প্রচার সচিব অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক ড. এ বি এম শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. মো. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, মো. আলামিন, আলমগীর হোসেন সম্রাট, ইস্রাফিল প্রামাণিক রতন, আল-আমিন, ড. মহিউদ্দীন, ড. এবিএম শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক নুরুল আমিন, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ। এ সময় সাদা দলের শিক্ষকরা দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি এবং তারেক রহমানসহ সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে নিপতিত।
দেশে চলছে দমন-পীড়নের রাজনীতি। গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। দুর্নীতিতে সয়লাব। বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে ডিজিটাল দমন পদ্ধতি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে সরকারের পেটোয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্যাতন করেছে।

তিনি বলেন, আজকে দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি। একুশে আগস্ট গ্রেনেড মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে কেবল জিয়া পরিবারকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য। আমরা খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই। হামলা মামলা বন্ধ করে সব নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যামামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। হামলা-মামলা বন্ধ না হলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না। মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছে। আমি তার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাই। তিনি বলেন, এমনি পরিস্থিতিতে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। শুরু হয়েছে ভুয়া ও মিথ্যা মামলা। আমরা এসব বন্ধ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানাই। ভোট দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। ক্ষমতার মালিক জনগণ। দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা তৈরি করুন। অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, দেশ ও জাতি বিনির্মাণে জিয়া পরিবারের নাম মুছে ফেলা যাবে না। নির্যাতন নিপীড়ন করে কোনো লাভ হবে না। জিয়া পরিবারের ঐতিহাসিক অবদান ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, বর্তমান সরকার আবারো একটি নীল নকশার নির্বাচনের চেষ্টা করছে। আজকে জিয়া পরিবারকে নির্বাচনের বাইরে রাখা এবং ধ্বংস করতেই এই ষড়যন্ত্র। একটি মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে। তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ১৫টি মামলা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো তিনি ক্ষমতায় আসার পর আজ অকার্যকর। এমনি অবস্থায় জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একুশে আগস্ট গ্রেনেড মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর