তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ১১ মিনিটের অডিও রেকর্ডিং রয়েছে যা থেকে ইঙ্গিত মেলে যে সৌদি ভিন্নমতালম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পরপর সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুর্কি সূত্রের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
ওই সূত্র জানিয়েছে, জামাল খাসোগির হাতে থাকা অ্যাপল ওয়াচে ধারণকৃত অডিওর চেয়ে ভিন্ন আরেকটি সূত্র থেকে এই অডিও হস্তগত হয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষের কাছে।
আল জাজিরা ছাড়াও রয়টার্স জানিয়েছে যে, তুরস্ক পুলিশের হাতে একটি অডিও রেকর্ডিং রয়েছে যা থেকে বোঝা যায় যে কনস্যুলেটেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়। দু’টি সূত্রের বরাতে ওই খবর দেয় রয়টার্স।
তবে এখন পর্যন্ত খাসোগিকে হত্যার কথা কড়া ভাষায় অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন দাবিকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছে। সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, খাসোগি কনস্যুলেটে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই বেরিয়ে যান।
রয়টার্স জানিয়েছে, ওই অডিও অনেক দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবও রয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, এই প্রমাণ সকল পক্ষের কাছে স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা কনস্যুলেটের মধ্যে নিখাদ প্রমাণ সংগ্রহের পর্যায়ে রয়েছি।
ওই ১১ মিনিটের অডিওর টেকনিক্যাল ভয়েস বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, সেখানে খাসোগি ছাড়াও ৩ সৌদি পুরুষ কণ্ঠের আওয়াজ পাওয়া যায়। অডিও থেকে আরও বোঝা যায়, কনস্যুলেটে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই আক্রমণের শিকার হন তিনি।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, খাসোগির অন্তর্ধানের দিন আগে আগেই কনস্যুলেটের কর্মচারিদের চলে যেতে বলা হয়।