× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সম্পাদক পরিষদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন সাংবাদিক নেতাদের

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ১৭, ২০১৮, বুধবার, ৬:১২ পূর্বাহ্ন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিলের দাবিতে সম্পাদক পরিষদের ৭ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএফইউজে ও ডিইউজে (একাংশ) আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে নেতারা এ সমর্থন জানান। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য সম্পাদক পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান তারা। জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সম্পাদক পরিষদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করছি। সম্পাদকদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা দাবি আদায়ে আন্দোলনের কর্মসূচি দিন। এছাড়া মুক্ত সাংবাদিকতা ও বাকস্বাধীনতার স্বার্থে নিজেদের দাবির মধ্যে কালো আইন বাতিলের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতি অভিনন্দন ও সমর্থন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, কালো সরকারের কাছে সাদা আইন প্রত্যাশা করা যায় না। বর্তমান সরকার যেমন কালো তাই তারা একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করে যাচ্ছে।
সরকার সত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা সত্যের সঙ্গে মিথ্যা মেশাতে দেবো না।

বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, বর্তমান সরকার এমন ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠেছে যে, নির্বাচন কমিশনারকে পর্যন্ত স্বাধীন মতপ্রকাশ করতে দিচ্ছে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সম্প্রচার আইনসহ নানা কালো আইনের মাধ্যমে হরণ করছে মানুষের বাকস্বাধীনতা। মুক্ত সাংবাদিকতাকে বেঁধে ফেলছে কালো আইনের বেড়াজালে। তিনি সরকারের প্রতি আসন্ন সংসদ অধিবেশনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান। সেই সঙ্গে এই আইন বাতিলের দাবিতে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান। প্রবীণ সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটানো হয়েছে। বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেন, সত্য ঢেকে রাখা যায় না। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য কি সেটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রকাশ করে দিয়েছেন। কালো আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের হাত ও মুখ বাধা হয়েছে সরকারের দুর্নীতি প্রকাশের ভয়ে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা না হলে সাংবাদিকরা এই আইন অমান্য কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে কালো আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাস্তায় নেমেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকরা। সরকারের ন্যূনতম লজ্জ্বা থাকলে সম্পাদকদের রাস্তায় নামতে হতো না। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সংসদের আসন্ন অধিবেশনে এই আইন বাতিল করুন। নইলে জনগণ আপনাদেরই বাতিল করে দেবে। বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের সহ সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, সহ সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সহকারি মহাসচিব আহমেদ মতিউর রহমান, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি শাহীন হাসনাত,  ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ডিআরইউর সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, মুরসালিন নোমানী, সাবেক সহ সভাপতি জিয়াউল কবির সুমন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, সাবেক অর্থ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মাইনুল হাসান সোহেলসহ শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন। অবস্থান কর্মসুচিটি সঞ্চালন করেন ডিইউজে নেতা শাহজাহান সাজু ও এইচএম আল আমিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর