× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাহবুব তালুকদারের প্রস্তাব সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: কবিতা খানম

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ১৭, ২০১৮, বুধবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকাদারের ৫ দফা প্রস্তাব ইসির সভায় আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন অপর এক নির্বাচন কমিশনার। গত সোমবার নির্বাচন কমিশনারদের সভায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে ৫ দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন মাহবুব তালুকদার। তার প্রস্তাব যেন সভায় না ওঠে সেজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আনঅফিসিয়াল নোট (ইউও নোট) দেন অপর তিন কমিশনার।

ওই তিন কমিশনারের একজন কবিতা খানম আজ সাংবাদিকদের জানান, মাহবুব তালুকদারের প্রস্তাব সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা সভায় আলোচনার সুযোগ ছিলনা। মাহবুব তালুকদার তার লিখিত ৫ দফা প্রস্তাবের তৃতীয় পাতার দ্বিতীয় প্যারায় উল্লেখ করেছেন, সংলাপের সুপারিশে অংশীজনের অনেকে নির্বাচনকালে সার্বিকভাবে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করতে বলেছেন। কেউ কেউ অর্থ, তথ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কেও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনার সুপারিশ করেছেন। বিষয়টি বিতর্কমূলক, সন্দেহ নেই। তবে আমার মনে হয় বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য।


নির্বাচন কমিশনের কাছে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অর্পিত হলে নির্বাচনে জনগণের আস্থা বেড়ে যাবে এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে তা সহায়ক হবে। একজন কমিশনার কমিশনের সভায় প্রস্তাব দিতে পারেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কবিতা খানম বলেন, আমি পাঁচটি প্রস্তাবই দেখেছি। প্রথম ছিল যে সেনা বাহিনীকে কীভাবে রাখবো। এখনো সে বিষয়ে আলোচনার সময় এখনো এটা নয়। এটা এখন সে সময়টা নয়।

আরো একটা বিষয় ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুটোই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনা। এটাতো সাংবিধানিকভাবেই এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যস্ত। সুতরাং এটা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানের ৫৫ এর (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। এটা যদি আলোচনা করি তাহলে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক একটা বিষয় চলে আসে। সরকারের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টা কী নিয়ে সংলাপ করবো? রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইতিমধ্যে সংলাপ করেছি। যতটুকু সময় আমাদের আছে এই সময়ের মধ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার সময় এবং মনে হয় না ইসির হাতে আছে। ইসির সভায় মাহবুব তালুকদারের নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে কবিতা খানম বলেন, নোট অব ডিসেন্ট হয় কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেদিন কমিশনের সভায় কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সুতরাং মাহবুব তালুকদার যা দিয়েছেন সেটিকে নোট অব ডিসেন্ট বলা যাবে না। তিনি আরও বলেন, কমিশনে পাঁচজন কমিশনার আছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। কারও ভিন্নমত থাকতে পারে। সেটাকে কমিশনারদের বিরোধ বলা যাবে না।

এতে কমিশন বিব্রত হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নে কবিতা খানম বলেন, যেহেতু উনি কমিশন সভা বর্জন করে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসতেছেন, এ রকম একটা মেসেজতো আমরা পাচ্ছি বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমরা কমিশন সেটা ফিল করছি না। গত মঙ্গলবার তিনি আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলেন।

আচরণবিধি সংশোধন প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, দু’একটি বিষয় সংশোধনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তফসিল ঘোষণার আগে আচরণবিধি সংশোধন না হলে সমস্যা হওয়ার কথা না। যেমন জীবন্তু প্রাণী প্রদর্শন ও ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে প্রচারণায় অংশ নেয়া যাবে না।

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করা আছে। সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণার ক্ষেত্রে কিন্তু ওখানে নিষেধ আছে। তার বিশেষ নিরাপত্তা বিশেষ আইনে দেয়া। নিরাপত্তা ব্যাতীত অন্য কোনো সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

সংসদ বহাল রেখে ভোটে সমতা নিশ্চিত করা সম্ভব কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, আইন যেহেতু সবার জন্য সমান আমরা সেভাবে প্রয়োগ করেত চাই। আইনের যে বিধানগুলো সেটার সঠিকভাবে প্রতিফলন হচ্ছে কি না সেটাও দেখভাল করবে ইসি। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন বিষয়ে বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন সংবিধানকে সামনে রেখে সংবিধান অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এখানে সংসদ বহাল থাকবে না কি থাকবে এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর