× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিংড়ায় দুলুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বাংলারজমিন

নাটোর প্রতিনিধি
১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ এনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে নাটোরের সিংড়ায় অবাঞ্ছিত করেছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে সিংড়ার গোডাউনপাড়া এলাকায় পৌর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন বিএনপির নেতারা।
এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ এবং সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি দাউদার মাহমুদকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মুন্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ফটিক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম আনুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দাউদার মাহমুদকে সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি করার পর থেকে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলছে। সে পৌর বিএনপির সভাপতি হওয়ার পর থেকে দলে বিভক্তি সৃষ্টি করে আসছিল।  এই অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশের অজুহাত দেখিয়ে দাউদার মাহমুদকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এতে দুলু বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দাউদার মাহমুদের কাছে পদ বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এরপর থেকেই সিংড়া বিএনপির মূলধারার নেতা-কর্মীরা দাউদার মাহমুদকে বহিষ্কারের দাবি জানান।  এজন্য বিক্ষোভ মিছিল, সংবাদ সম্মেলন করেন মূল বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
 
এ ঘটনায় দাউদার মাহমুদ নিজেই পৌর বিএনপির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে জেলা বিএনপির কাছে আবেদনও করেন।
এ অবস্থায় জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু দাউদার মাহমুদকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করে চিঠি দেন। বিষয়টি জানার পরপরই ফুঁসে ওঠে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
তিনি আরো বলেন, সিংড়া বিএনপিকে বাঁচাতে আমরা তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সঙ্গে দুলুকে সিংড়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা এবং দাউদার মাহমুদকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, দুলুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার কথা শুনেছি। তবে কেন তারা অবাঞ্ছিত করলো সে বিষয়ে বোধগম্য নই। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরে জানাতে পারবো। টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে দুলুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এমন প্রশ্নে আমিনুল হক বলেন, এটা আমার জানা নেই, তবে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের কারণে দাউদারকে দুলু সাধারণ সম্পাদক করেছেন। এদিকে এ ব্যাপারে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সিংড়ায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামিম আল রাজি মারা যাওয়ায় পদটি শূন্য ছিল, তাই দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে শূন্য পদ পূরণে দাউদার মাহমুদকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দাউদার মাহমুদ জানান, দলের দুর্দিনে তিনি বিএনপির দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তার কারণেই পুলিশ তার বিরুদ্ধে গাড়ি চুরির মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। সেটাকে পুঁজি করেই আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর