× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রয়োজন আরো সিনেপ্লেক্স ও ই-টিকিটিং সিস্টেম

বিনোদন

কামরুজ্জামান মিলু
১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

সিনেমা ভালো হলেই যে তা ভালো ব্যবসা করবে, প্রযোজক মূলধন ফেরত পাবেন- এ কথা অনেকাংশে ঠিক আবার অনেকাংশে ঠিক না। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার কারণে দর্শক সিনেমা হলে ভালো ছবি চলার পরও এখন আর দেখতে যায় না। আবার ছবির রিপোর্ট ভালো, সেল ভালো হওয়ার পরও প্রযোজকরা ঠিকমতো সিনেমা হল থেকে টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। প্রযোজকরা এজন্য নতুন সিনেমা প্রযোজনা করার ইচ্ছে পোষণ করার পরও সিনেপ্লেক্স, ই-টিকিটিং সিস্টেমসহ নানা বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবছেন। জয়া আহসান ‘দেবী’ ছবির প্রচারণার সময় বলেছেন, বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ‘দেবী’ ছবির প্রচারের সময় ছবির প্রযোজক হিসেবে বিভিন্ন সিনেমা হলের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। রাজধানীর কয়েকটি সিনেপ্লেক্স ছাড়া ঢাকার বাইরে বেশিরভাগ সিনেমা হলের পরিবেশ নাজুক।
সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের মতো ই-টিকিটিং সিস্টেমটা থাকা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে সবার আগে বেশকিছু উন্নতমানের সিনেপ্লেক্স আমাদের দেশে প্রয়োজন। আমার ‘দেবী’ ছবিটি ৫:১ সাউন্ড সিস্টেমে করা যা ঢাকার কয়েকটি সিনেমা হলে শুধু দর্শক ভালোভাবে সাউন্ডটা বুঝতে পারবে। অন্য সিনেমা হলগুলোতে এই সাউন্ড দর্শকরা কতটুকু ফিল করবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। মানসম্পন্ন সিনেমা হলের অভাবে সিনেমাপ্রেমীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, অনেক টাকা দিয়ে সিনেমা বানানোর পর টাকাটা যদি প্রযোজকের পকেটে ফেরত না আসে তাহলে উন্নতমানের সিনেমা বানিয়ে কোনো লাভ নেই। সিনেমা মুক্তির পর প্রকৃতভাবে কত সেল হচ্ছে তা জানা খুবই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সেখানেও চুরি রয়েছে। এই চুরি ঠেকাতে পারলে প্রযোজকরা লাভবান হবেন। এজন্য সিনেপ্লেক্স বাড়ানোর পাশাপাশি ই-টিকিটিং সিস্টেম এবং সিসি ক্যামেরা থাকা খুব বেশি প্রয়োজন। এসব বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আমাদের বেশ কয়েকবার মিটিং হয়েছে। আশা করি, খুব দ্রুত এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, কেরানীগঞ্জে লায়ন সিনেপ্লেক্সসহ চট্টগ্রামেও নতুন সিনেপ্লেক্স হয়েছে বলে জানান প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে গেলে সিনেপ্লেক্স বাড়ানোর পাশাপাশি ই-টিকিটিং সিস্টেম এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা খুবই দরকার। সিনেপ্লেক্সের বাইরে ঢাকায় মধুমিতা, বলাকা, সনি, শ্যামলী, চিত্রামহল, জোনাকী, কেরানীগঞ্জে মিনি গুলশান, যশোরের মনিহার, চট্টগ্রামের আলমাস, দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে উর্বশীসহ দেশে এখনো বেশকিছু ভালো সিনেমা হল রয়েছে। এগুলোর পরিবেশ খুবই ভালো। বাকি অনেক সিনেমা হলের অবস্থা নাজুক। তবে সিনেমা প্যালেসের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে সুগন্ধা, বগুড়ায় মধুবন সিনেপ্লেক্স, স্টার সিনেপ্লেক্সের তত্ত্বাবধানে ঢাকায় বেশকিছু সিনেপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। ভালো মানের সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা বাড়লে সিনেমা প্রযোজকের সংখ্যা বাড়বে এবং প্রযোজকরাও সিনেমায় লগ্নি করে লাভবান হবেন। দর্শকদের ভিড় বেশি হয় এখন সিনেপ্লেক্স এবং ভালো মানের সিনেমা হলগুলোতে। সেখানকার উন্নত পরিবেশ, টিকিটিং সিস্টেম, সাউন্ড সিস্টেম, ফুডকোর্টসহ নানা বিষয়ের কারণে দর্শকদের বেশি টানছে বলে মনে করেন তিনি।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর