নারায়ণগঞ্জে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা। শারদীয় দুর্গা পূজার একটি প্রধান অংশ অষ্টমীর কুমারী পূজা। শহরের মিশনপাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে বুধবার বেলা ১১টায় নানা আনুষ্ঠানিকতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা। এ সময় চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে আর মায়ের স্তব-স্তূতিতে।
এবারের কুমারী পূজার কুমারী ছিলেন নগরীর চাষাঢ়া এলাকার কিন্ডার কেয়ার স্কুলের ৩য় শ্রেণির স্বপন চক্রবর্তী ও শঙ্করী চক্রবর্তীর ৭ বছর ১১ মাসের কন্যা প্রিয়ন্তী চক্রবর্তী। পূজার আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। কুমারী মাকে কোলে করে ম-পে নিয়ে এসে হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক এবং পায়ে আলতা। ঠিক সময়ে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে পূজা করা হয় কুমারী মাকে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা কঠোর পরিশ্রম করেন।
পুলিশ লাইন এবং সদর মডেল থানা থেকে প্রায় ৪০ জন মহিলা ও পুরুষ, পুলিশ পোশাকে এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তার জন্য উপস্থিত ছিলেন।
কুমারী পূজা সম্পর্কে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথন্দ মহারাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভগবতীর এটি একটি অংশ। ভগবতীর বিশেষ প্রকাশ। শিশু, কুমারীর মাঝে দেবিত্ব প্রকাশ পায় বলে আমরা তার পূজা করে থাকি। শুদ্ধাত্মা কুমারীর মাঝে যদি দেবিত্ব উপলব্ধি করতে পারি, তাহলে প্রত্যেক মায়ের মধ্যে উপলব্ধি করতে পারবো। মাকে যদি সম্মান, শ্রদ্ধা করি তাহলে সমাজ, দেশ শান্তিতে থাকবে। কুমারী পূজা শুধু হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্যই নয়। এটা সকলের উৎসব, সবাই এ পূজায় আসেন এবং উদযাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শঙ্কর সাহা, আমলাপাড়া পূজা ম-পের সভাপতি প্রবীর সাহা, নাগমশাই আশ্রমের সভাপতি তারাপদ আচার্য্যসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।