× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিবেকের অনশন

এক্সক্লুসিভ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

‘প্রশ্নফাঁসের মতো একটা ঘৃণ্য বিষয়ের প্রতিবাদে নেমেছি। একুশ ঘণ্টা হয়ে গেল, আমি অনশন চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ, আমার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটিবারও আমার সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন বোধ করেনি। শুনেছি, তারা একাডেমিক কাজে ব্যস্ত। আমি জানি, আমি ক্লান্ত হয়ে পড়বো, ঠিক এ জাতির মতো, আমি দিশেহারা, ঠিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। এ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মৃত্যুমুখে পতিত, আর আমিও। কিন্তু, আমি ঠিক এভাবে মরতে চাই না। আমি চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শক্ত দুটি হাত আমার গলা চেপে ধরুক আর আমার শেষ নিঃশ্বাসের ধাক্কাটা তাদের মুখে গিয়ে লাগুক।
তবেই একটু শান্তি পাই।’ এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নিজের হতাশার কথা তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আখতার হোসেন। প্রশ্নফাঁস হওয়ায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল চেয়ে অনশনরত অবস্থায় গতকাল দুপুরে এভাবে নিজের আক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। বিকালে মানবজমিনকে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ আমার কাছে আসেনি। তবে আমি ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমার অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নাওয়া-খাওয়া ছাড়া গতকাল বিাকলে তাকে অনেক ক্লান্ত দেখা যায়। বিভিন্ন সময় বন্ধুরা তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন। সকালে অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের একই দাবি করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। তারাও অনতিবিলম্বে ফল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষার সময় নির্ধারণের দাবি করেন। নতুবা তারাও কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেয়। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনরত অবস্থায় বই পড়তে দেখা গেছে তাকে। ওইদিন বিকালে আহমদ ছফার লেখা বিখ্যাত বই ‘গাভী বিত্তান্ত’ও পড়তে দেখা যায় তাকে। যে বইটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে নিয়ে লেখা। ওই ভিসির ছদ্মনাম দেয়া ছিল আবু জুনায়েদ। যেখানে ভিসির বিভিন্ন নেতিবাচক চরিত্র ফুটে ওঠে। ‘গাভী বিত্তান্ত’ কেন পড়ছেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমি এ জাতিকে একটা ম্যাসেজ দিতে চাই। এদিকে ফলাফল বাতিলের দাবি করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। তারা ডিনের পদত্যাগ, ফলাফল বাতিল ও নতুন করে পরীক্ষা নেয়া এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছে। দাবি আদায়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল করে তারা। এসময় বলা হয়, যদি ফলাফল বাতিল করা না হয়, তাহলে ভিসির কার্যালয় এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয় অবরোধ কর্মসূচি দেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর