× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খাসোগি হত্যা /সৌদি যুবরাজকে দায়ী করলেন প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ১৮, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন

সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সরাসরি এই অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। মোহাম্মদ বিন সালমানকে (সংক্ষেপে এমবিএস) দুর্বৃত্ত ক্রাউন প্রিন্স বলেও আখ্যা দেন গ্রাহাম। তিনি দাবি করেন, এমবিএস’র কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রভাবশালী মার্কিন টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব বলেন গ্রাহাম। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, সৌদি আরব নিয়ে অসন্তুষ্ট মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সদস্যই খাসোগি ইস্যুতে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু গ্রাহাম সরাসরি ক্রাউন প্রিন্স এমবিএসকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন। সিনেটর গ্রাহাম আরো বলেছেন, তিনি শিগগিরই এই বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করবেন।
পাশাপাশি, সৌদি আরবের কাছে বড় অঙ্কের অস্ত্র চুক্তি বাতিল করার কথাও বলবেন। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়া ছাড়াও গ্রাহাম মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য। ফলে তার এই বক্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফক্স নিউজকে গ্রাহাম বলেন, সৌদি আরবে এমবিএস জানে না এমন কিছু ঘটে না। তিনি আরো বলেন, মার্কিন সিনেটে আমি ছিলাম তাদের (সৌদি আরব) সবচেয়ে বড় সমর্থক। কিন্তু এই লোকটা (এমবিএস) সব তছনছ করে ফেলছে। সে-ই খাসোগিকে তুরস্কের কনস্যুলেটের ভেতর হত্যা করিয়েছে। আর এখন প্রত্যাশা করছে, আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যাব। আমার মনে হচ্ছে, আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে, অপব্যবহার করা হয়েছে।

গ্রাহাম আরো বলেন, আমার কাছে এই এমবিএসকে বিষাক্ত মনে হয়। সে কখনই বিশ্বমঞ্চে নেতা হয়ে উঠতে পারবে না। কয়েকদিন আগে তুরস্কে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে নথিপত্র উঠাতে গিয়ে আর ফিরেননি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তুর্কি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, কনস্যুলেটের ভেতরই তাকে একদল প্রশিক্ষিত লোক হত্যা করে। গত সপ্তাহেই ২২ মার্কিন সিনেটর আমেরিকায় তদন্ত শুরু করিয়েছেন। তারা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন যে, খাসোগির অন্তর্ধানের ঘটনায় সৌদি আরবের ওপর মানবাধিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত কিনা।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য অত আক্রমণাত্মক অবস্থান নেননি। প্রথমে তিনি বলেছেন যে, ওই অন্তর্ধানের নেপথ্যে সৌদির হাত থাকলে তাদেরকে কঠোর সাজা পেতে হবে। তবে পরে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে কথোপকথনের পর ট্রাম্প বলেন, ওই কাজ দুর্বৃত্তদের কাজও হতে পারে। প্রেসিডেন্টের ওই কথার প্রসঙ্গে গ্রাহাম পৃথক আরেক সাক্ষাৎকারে বলেন, দুর্বৃত্ত খুনিরা নয়, বরং এর জন্য দায়ী একজন দুর্বৃত্ত যুবরাজ। এই লোক যতদিন দায়িত্বে থাকবে আমি সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখবো। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবে বাদশাহ সালমান বেশ শ্রদ্ধেয় হলেও সব কলকাঠি নাড়েন যুবরাজ।

গ্রাহাম বলেন, তিনি জানেন না যে ট্রাম্প এই ইস্যুতে কী করবেন। তবে আমি জানি আমি কী করবো। আমি সৌদি আরবের ওপর অবরোধ আরোপ করবো, তার ভাষ্য। সিনেটর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমবিএস’র কারণে আজ প্রেসিডেন্ট ও তার মতো সৌদি সমর্থকদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। এই লোককে বিদায় নিতে হবে, বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার খাসোগির অন্তর্ধান নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর