× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছিন্নমূলদের মানবেতর জীবন

বাংলারজমিন

শাহ্‌ মোস্তফা কামাল, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে
১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

ঢাকা-সিলেট রেলপথের হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র রেল জংশন এলাকায় অসহায় ছিন্নমূল লোকজনের দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। রাত যাপনের ভরসা শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে প্লাটফরম। খেয়ে থেকে বাঁচার জন্য অর্থের বড় অভাব দেখা দিয়েছে। ওই লোকজনদের তাদের ভরসার হয়ে কোনো ব্যক্তি এগিয়ে আসছেন না। কোনো রকমে দুমুঠো খেয়ে পরে বেঁচে আছে ছিন্নমূল লোকজন। অতি কষ্টে এ লোকজনদের জীবনের সঙ্গে  যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কষ্টের দিনগুলো যেন শেষ হচ্ছে না ছিন্নমূল অসহায় লোকজনের। গতকাল রেল স্টেশন পরিদর্শনকালে ওই লোকজন মানবজমিনকে কুমিল্লার বাসিন্দা মিজায মিয়া ওরফে মলাই জানান, বাড়ি ঘর জায়গা জমি কিছুই নাই এ জংশন এলাকায়।
দীর্ঘ দিন যাবৎ বসবাস করে আসছি পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে ভিক্ষা করে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে বর্তমানে দিনগুলো অতি কষ্টের মধ্যে অতিক্রম করতে হচ্ছে। আলাপকালে পরিবারের আহারের জন্য এক মহিলা হোটেলে গৃহিণীর কাজ করে। এমন ভাবে অনেক পরিবার জংশন এলাকায় মানবেতর জীবনযাপন ও বসবাস করছে অতি কষ্টের সঙ্গে। মিজায মিয়া ওরফে মলাই দাবি জানান, বর্তমান সরকার তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কোনো কিছু করার জন্য। যাতে করে তারা সেখানেই কিছুটা স্বস্তি  নিয়ে বসবাস করতে পারেন। তিনি জানান, জংশন এলাকায় নলকূপ নেই। টয়লেট থাকলেও ৫-১০ টাকা দিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয়। টাকা না থাকলে এ কাজ সারতে হয় খোলা জায়গায়। এমনভাবে জীবন পরিচালনা করতে গিয়ে মিজায মিয়া ওরফে মলাইর মতো ছিন্নমূল লোকদের মনের মধ্যে জমে থাকা অনেক কষ্টের কথা জানা যায় তার পরও থেমে থাকছে না তাদের জীবন চাকা। সকাল হলে অর্থের সন্ধানে ছুটে চলা আর বিকাল হলে খাবার সংগ্রহ করা। এমনভাবে চলতে গিয়ে তারা নানা সমস্যায় পড়েছেন। এসব দেখার জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। ছিন্নমূলদের দাবি তারা কি মানুষ নয়? রাষ্ট্র সমাজ তাদের জন্য কি কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মধ্যে নানা ধরনের দরদী ব্যক্তিরা বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সমাজের মান উন্নয়নে। তাদের প্রশ্ন এসব কি আমাদের ভাগ্যে নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর