গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলনের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, বুধবার বিকালে বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফজলুল হক মিলন কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। উপজেলার জামালপুর পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে তিনি দলীয় লোকজন সঙ্গে নিয়ে পাশের ইউনিয়ন মোক্তারপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রেবাসের বিশাল বহর ছিল তার সঙ্গে। এ সময় হামলা চালিয়ে বহরের মোটর সাইকেল ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর এবং অন্তত ১০ জনকে আহত করা হয়। ফজলুল হক মিলন জানান, বিভিন্ন পূজামণ্ডপে যাওয়ার পথে সড়কের কয়েকটি স্থানে বাধা দেয়া হয় তাদের। এসব বাধা উপেক্ষা করে তিনি জামালপুর থেকে মোক্তারপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে সাওরাইদ বাজারের কাছে পৌঁছলে একদল যুবক লাঠিসোঁটা ও রাম দা নিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও তাদের নেতাকর্মীদের আহত করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থী মিলন আরো জানান, ঘটনার সময় ওই মোক্তারপুর ইউনিয়নেই অবস্থান করছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। ইউনিয়নে মন্ত্রীর অবস্থানকালেই আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই হামলা চালিয়েছে। শুধু এই হামলাই নয়, গত ১০ বছর ধরেই কালীগঞ্জে বিএনপি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারছে না। গতকাল (আজ) পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসেও হামলার শিকার হতে হয়েছে। অবশ্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্র্মী কিংবা সমর্থক কেউই হামলা বা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। এটা তাদেরই একটা সাজানো নাটক। এছাড়া শান্তিপ্রিয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সকাল থেকেই তার নির্বাচনী এলাকায় নানা ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সরকারি কর্মসূচি ও পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সঙ্গে রয়েছেন।