স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ আজ বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রসরমান বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল এবং ২০৪১ সালে সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। গতকাল জেনেভায় সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আর্থসামাজিক সকল সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান।
সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় জনগণ ভোগ করছে ইতিবাচক পরিবর্তনের সুবিধা। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ অনন্য। সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বও ক্রমবর্ধমান। বর্তমানে সংসদে ৭৩ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছে। বিরোধী দলের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সমালোচনা সংসদকে আরো বেশি কার্যকর করেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চায় আস্থা রেখেছে। আর এ কারণেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচাইতে বড় দু’টি গণতান্ত্রিক সংগঠন সিপিএ ও আইপিইউ’তে শীর্ষ পদে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৭.৮৬। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান। সেই সঙ্গে ধাবমান তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতের সম্পদ। এ সময় তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য সম্ভাবনার নবদ্বার উন্মোচনের আহ্বান জানান। স্পিকার বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে কোনরূপেই নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না। বাঙালি জাতির মুক্তি তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৩ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। কারো কৃপা বা অনুকম্পায় নয় বরং রক্তের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে যুক্ত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখপানে। এ সময় তিনি সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ক্ষুধামুক্ত, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামলের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তৃতা করেন হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস, মমতাজ বেগম, আশেক উল্লাহ রফিক, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী এবং শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন জেনেভা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার, সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান এবং সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে স্পিকার আইপিইউ’র সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুং গং-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা আইপিইউ’র ফোরামে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যুর হার এবং বাল্যবিবাহ হ্রাস করার উপায়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া আইপিইউ’র মাধ্যমে বঞ্চিত জনগোষ্ঠী যাতে করে উপকৃত হতে পারে সেইরূপ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।