ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। সরকারি এই হাসপাতালে গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে স্যালাইন ডিএন, ডিএনএ, নরমাল ও হার্টসল ইন্ট্রাভেনাসসহ (আইভি) কোনো প্রকার স্যালাইনের সরবরাহ নেই। ফলে দুই হাজার ৬০০ শয্যার এ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্যালাইনের অভাবে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে জরুরি বিভাগ ও নিউরোসার্জারি বিভাগে সমস্যা বেশি হচ্ছে। জানা গেছে, নিউরোসার্জারির ১০০ ও ১০৩ ওয়ার্ডের ছয়টি ইউনিটে বেড সংখ্যা একশোর মতো হলেও রোগী থাকছে তিনগুণেরও বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা ও বহুতল ভবন থেকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের এ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হয়। সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জরুরি চিকিৎসা দেয়ার জন্য সুই-সুতা, স্যালাইন ও ইনজেকশন সরবরাহ না থাকায় রোগীদের সেবা দেয়া যাচ্ছে না।
এর মধ্যে সুই-সুতার সরবরাহ নেই ছয় মাস ধরে। এগুলো রোগীকে বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্তদের রক্তপাত বন্ধ করতে হার্টসম্যান সলিউশন স্যালাইন অত্যাবশ্যক। এ ছাড়া মস্তিষ্কের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে বারবিট এবং অস্থিরতা দূর করতে হেলোপেরিডল ইনজেকশনের দ্রুত প্রয়োজন হয়। বর্তমানে অত্যাবশ্যক এ স্যালাইন ও ইনজেকশনের সরবরাহ না থাকায় চিকিৎসা বিঘ্নিত হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ক্ষতস্থান সেলাইয়ে ব্যবহৃত সুই-সুতা ও ব্যান্ডেজের জন্য মাইক্রোপোরও সরবরাহ নেই। সূত্র জানায়, সরকারি জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের আইভি ফ্লুইড উৎপাদন ইউনিট থেকে স্যালাইন সরবরাহ একেবারে বন্ধ রয়েছে। টেন্ডার ছাড়া বাইরে থেকে স্যালাইন কেনা যায় না। ইতিমধ্যে স্যালাইনের জন্য টেন্ডার হয়েছে। আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালটির মেডিসিন স্টোরের সহকারী প্রধান ডা. মশিউর রহমান মানবজমিনকে বলেন, একেবারে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অল্প অল্প সরবরাহ হচ্ছে। তবে আশা করছি আগামী দু’একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।