× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একদিনে তিনজনের ৫ উইকেট

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

একদিনে তিনজনের পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি দেখলো জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল)। গতকাল তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিনে এমন কীর্তি গড়েন তাসকিন আহমেদ, নাঈম হাসান ও সৌম্য সরকার। খুলনা বিভাগের হয়ে রংপুরের বিপক্ষে দুই ইনিংসে অর্ধশতকের পাশাপাশি বল হাতে নৈপুণ্য দেখান সৌম্য। পার্টটাইম মিডিয়াম পেসার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আগেও পাঁচ উইকেট নেন তিনি। লংগার ভার্সনে ইনিংসে সৌম্যর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ৫/৩৪। গতকাল ৬১ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট পান তিনি। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আজ শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামার আগে খুলনায় লিড ১৭০ রান। গতকাল ১৮১/৫ সংগ্রহ নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ব্যক্তিগত ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন তুষার ইমরান। দলীয় ৪৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর সৌম্যর সঙ্গে ১০৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৭৬ রান করা সৌম্য এবার ৭১ রানে থামেন। এর আগে ২০০/৪ সংগ্রহ নিয়ে দিন শুরু করে রংপুর বিভাগ। খুলনার ৩০৪ রানের জবাবে ৩১৫ রানে শেষ হয় রংপুরের প্রথম ইনিংস। শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফেরান সৌম্য। সোহরাওয়ার্দী শুভকে (৪৮) দিয়ে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান আগেরদিন তিন উইকেট নেয়া আল আমিন হোসেন। ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তানভীর হায়দার।
তাসকিন ও নাঈম পাঁচ উইকেট পান একই ম্যাচে। আগের দিনের তিন উইকেটের সঙ্গে আর দুই উইকেট যোগ করেন ঢাকা মেট্রোর তাসকিন। আর ১৮৭/৬ সংগ্রহ নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা চট্টগ্রাম বিভাগ ২৩৬ রানে অলআউট হয়। সেঞ্চুরি পূরণ করে তাসকিনের পঞ্চম শিকারে পরিণত হন তাসামুল হক (১১৬)। আর ২৪২ রানের লিড নিয়ে চালকের আসনে ঢাকা মেট্রো। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১/৬। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন চট্টগ্রামের অফস্পিনার নাঈম হাসান। শামসুর রহমান ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। ওপেনার সাদমান ইসলাম ৬২, মোহাম্মদ আশরাফুল ২৩, মেহরাব হোসেন জুনিয়র ২৬, সৈকত আলী ৪০ রান করে আউট হন। প্রথম ইনিংসে ২৮৭ রান করে ঢাকা মেট্রো।
বরিশাল-রাজশাহী ম্যাচে ১৯ উইকেটের পতন
বৃষ্টির কারণে বরিশাল-রাজশাহী ও সিলেট-ঢাকা বিভাগ ম্যাচের প্রথম দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। গতকাল সেই আক্ষেপ দূর হয়। আর বোলারদের দাপটে ১৯ উইকেটের পতন দেখে বরিশালের বিভাগীয় স্টেডিয়াম। টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে মাত্র ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল বিভাগের প্রথম ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন নুরুজ্জামান। রাজশাহী বিভাগের হয়ে ৪ উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। দুইটি করে উইকেট পান মুক্তার আলী ও তাইজুল ইসলাম। স্বল্প পুঁজি নিয়েও লিড নেয়ার পথে বরিশাল। ১২৫ রানে ৯ উইকেটের বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী বিভাগ। মুক্তার আলী ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সাব্বির রহমান ৩১ রান করে আউট হন। বরিশালের হয়ে তিন উইকেট নেন অফস্পিনার সোহাগ গাজী। দুইটি করে উইকেট পান কামরুল ইসলাম রাব্বি, তানভীর ইসলাম ও মনির হোসেন।
টানা দুইদিনের বৃষ্টির পর কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে দুই উইকেটে ২২৯ রান তোলে সিলেট বিভাগ। দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ৪১ ও তৌফিক খান ৩৫ রান করে আউট হন। জাকির হাসান ৮৪ ও রাজিন সালেহ ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। উইকেট দুইটি নেন শুভাগত হোম ও তাইবুর রহমান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর