দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শেষদিনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচ বাঁচায় অস্ট্রেলিয়া। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও কঠিন পরিস্থিতিতে অজিরা। গতকাল আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মাত্র ১৪৫ রানে অলআউট হয় টিম পেইনের দল। পাঁচ উইকেট নিয়ে অজিদের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান করা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ১৩৭ রানের লিড নিয়ে। আর ১৪৪/২ সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে তারা। দিনশেষে পাকিস্তানের লিড দাঁড়ায় ২৮১ রানের। আজহার আলী ৫৪ ও হারিস সোহেল ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
দুই ইনিংসেই অর্ধশতক হাঁকান অভিষিক্ত ওপেনার ফখর জামান। প্রথম ইনিংসে ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬৬ রান। দলীয় ১৫ রানে মোহাম্মদ হাফিজ (৬) আউট হওয়ার পর ফখরকে নিয়ে ৯১ রানের জুটি গড়েন আজহার। এর আগে ২০/২ সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমদিনে জোড়া আঘাত হানা আব্বাসের সঙ্গে বিলাল আসিফের স্পিন ঘূর্ণিতে দিশাহারা অবস্থা হয় অজিদের। তিন উইকেট নেন আসিফ। অষ্টম উইকেটে মিচেল স্টার্ক ও মার্র্নাস লাবুশেনের ৩৭ রানের জুটি অজিদের ইনিংসে সর্বোচ্চ। লাবুশেনকে (২৫) রানআউট করে এই জুটি ভাঙেন ইয়াসির শাহ। আব্বাসের পঞ্চম শিকারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন স্টার্ক (৩৪)। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। টেস্ট ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন আব্বাস। তার আগের সেরা বোলিং ফিগার ৫/৪৬। আর টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন আব্বাস। নিজের দশম টেস্টে এক উইকেট দূরে ছিলেন তিনি। ৯ টেস্টে ৫০ উইকেটের কীর্তি অর্জন করেন স্পিনার ইয়াসির শাহ। আবুধাবি টেস্টের প্রথম দিনে নাথান লায়নের ৬ বলে ৪ উইকেটের ভেলকিতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫৭/১ থেকে হয়ে যায় ৫৭/৫! সেখান থেকে ১৪৭ রানের জুটিতে দলকে টেনে তোলেন অভিষিক্ত ফখর জামান ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ফখরের মতোই ব্যক্তিগত ৯৪ রানে আউট হন সরফরাজ।