× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফ্রান্স ২-১ জার্মানি / কখনো এমন লজ্জায় ডোবেনি জার্মানি

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

২০১৮ সাল জার্মানির জন্য হতাশার আরেক নাম। ব্যর্থতার জালে বন্দি চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার লজ্জা দিয়ে এর শুরু। আর ইউয়েফা ন্যাশন্স লীগেও জার্মানদের শোচনীয় অবস্থা। মঙ্গলবার ন্যাশন্স লীগের ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মাঠে এগিয়ে থেকেও ২-১ গোলে হার দেখে জার্মানি। এতে লজ্জার এক রেকর্ডের জন্ম দেয় কোচ জোয়াকিম লোর শিষ্যরা। জার্মানির ফুটবল ইতিহাসে ম্যাচ হারের হিসাবে এটাই সবচেয়ে বাজে বছর। চলতি বছর এ নিয়ে মোট ৬ ম্যাচ হারলো তারা।
ব্রাজিল, অস্ট্রিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডসের পর ফ্রান্স। ১৯৫৬ ও ১৯৮৫ সালে পাঁচ ম্যাচ হেরেছিল জার্মানি। এ বছর জার্মানির একমাত্র জয় বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সুইডেনের বিপক্ষে শেষ মিনিটের গোলে। ন্যাশন্স লীগে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নেদারল্যান্ডসের মাঠে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় জার্মানি। ধারাবাহিক বাজে পারফরমেন্সে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে জার্মানির কোচ জোয়াকিম লোর। প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচ জয়হীন (১ ড্র, ২ হার) থেকে লীগ ‘বি’-তে অবনমনের শঙ্কায় ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। আগামী মাসে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে আতিথ্য দেবে জার্মানি। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ডাচ্‌রা। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে লীগ ‘এ’র গ্রুপ-১ এর শীর্ষে ফ্রান্স। এ নিয়ে ১৪ ম্যাচে অপরাজিত দিদিয়ের দেশমের দল। গত মাসে জার্মানির মাঠে গোলশূন্য ড্র করে ফ্রান্স। আর দুইদলের দ্বিতীয় লড়াইয়ের দুইটি গোল আসে পেনাল্টি থেকে। জোআ  গোলে ফ্রান্সের জয়ের নায়ক আন্তোইন গ্রিজম্যান। ফ্রান্সের জয়সূচক গোল আসে পেনাল্টি থেকে। এটি পেনাল্টি ছিল না বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান লো। জার্মান কোচ বলেন, ‘এটা পেনাল্টি ছিল না। মাতুইদিকে স্পর্শই করেনি হামেলস। মাতুইদির নিজের পায়ে পা পড়ে। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছি। কিন্তু আমাদের প্রথমার্ধে দ্বিতীয় গোল করা উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে ভালো পারফরমেন্সের পুরস্কার পাইনি। আরেকটু ভালো খেললে দ্বিতীয় গোল দিয়ে ম্যাচ জিততে পারতাম।’ ৫৭% বল দখলে রাখে জার্মানি। ফ্রান্সের ১৪ শটের বিপরীতে জার্মানি শট নেয় ১১টি। অনটার্গেটে দুইদলের শট ছিল মাত্র ৭টি (৪ ও ৩)। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে জার্মানি। ম্যাচের ১৪ মিনিটে ডি-বক্সের ডান পাশ থেকে লেরয় সানের ক্রস ব্লক করতে গিয়ে ফরাসি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিমপেমবের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। স্পক কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন টনি ক্রুস। আর নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার টানা তিনটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোলখরার পর জালের দেখা পায় জার্মানি। ৬২ মিনিটে গ্রিজম্যানের দারুণ হেডে পরাস্ত হন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। ৮০ মিনিটের পেনাল্টিতে ফ্রান্সকে জয়োল্লাসে মাতান গ্রিজম্যান। প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম টানা চারটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জয়হীন থাকলো জার্মানি। সবশেষ ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে এই অভিজ্ঞতা নেয় তারা। আর গত ১৮ বছরে এবারই প্রথম টানা দুইটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হারলো জার্মানি।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর