× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফের ওপেন করতে প্রস্তুত মিরাজ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে হঠাৎ করেই জাতীয় দলে আসেন তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ।  যেখানে বেশির ভাগ তরুণ নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হিমশিম খাচ্ছিল। সেখানে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েন ইতিহাস। ধীরে ধীরে টেস্ট থেকে ওয়ানডে দলে জায়গাও হয়। সেখানেও ধরে রাখেন ধারাবাহিকতা। সব শেষ একের পর এক তরুণ ওপেনারের ব্যর্থতায় এশিয়া কাপে লিটন দাসের সঙ্গে নতুন দায়িত্ব পান। আর তিনি আস্থার প্রতিদান দেন দারুণভাবে। লিটনের সঙ্গে ১২০ রানের জুটিতে দারুণ অবদান রাখেন। বলতে গেলে বলের সঙ্গে ব্যাটেও দায়িত্ব নিয়ে দেখিয়েছেন তিনি অলরাউন্ডার হতে কতটা যোগ্য।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দলে না থাকায় তাই মিরাজের ওপর চাপটা অনেক বেশি থাকবে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সাকিবের না থাকা মিরাজ চাপ নয় ভাবছেন দায়িত্ব হিসেবেই। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে মিরাজ কথা বলেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে। সেই কথপোকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন: সাকিব নেই, তাই আপনার ওপর বাড়তি চাপ কিনা?
মিরাজ: আসলে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক, সাকিব ভাই আমাদের সঙ্গে নেই। তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে দলে ফিরবেন। তবে তার না থাকা চাপ না। এটা আমার কাছে বাড়তি দায়িত্বের মতন। যেহেতু সাকিব ভাই নেই, দায়িত্ব থাকবে বোলিংটা আরেকটু বেশি ভালো করার। পাশাপাশি যারা স্পিনার আছেন, তাদেরকে উৎসাহ দিবো আরো ভালো করার।

প্রশ্ন: সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে বোলিংয়ের উন্নতি হয়েছে। বোলিং নিয়ে কি আলাদাভাবে কাজ করেছেন?
মিরাজ: আমার কাছে মনে হয় আমি পূর্বের তুলনায় এখন একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করছি। কিভাবে কি করতে হবে, এসব নিয়ে মানসিকভাবে একটু শক্ত হয়েছি। আর বোলিংয়ে কিছু ভেরিয়েশন এনেছি, ওইগুলো হয়তো কাজে দিচ্ছে।

প্রশ্ন: নিজের বোলিং ভেরিয়েশন সম্পর্কে জানাবেন কী?
মিরাজ: ভেরিয়েশন বলতে, আমি আগে প্রায়সময় এক গতিতেই বল করতাম। সিমের পজিশন একটু অন্য রকম ছিল আগে। সিমের গতিপথ পরিবর্তন করেছি। আগে ৪৫ ডিগ্রিতে বল করতাম। এখন ৯০ ডিগ্রিতে করছি। একটু মিক্স করে বল করছি। এইগুলোই, গতিপথ পরিবর্তন করে কিছু ভেরিয়েশন এনেছি।

প্রশ্ন: টেস্টের উইকেট টেকিং বোলার কিন্তু ওয়ানডেতে নয় কেন?
মিরাজ: ওয়ানডেতে আমি প্রথম দিকে যখন বল করি, প্রতিপক্ষ দলের ওপেনাররা যখন রান তাড়া করে খেলে, তখন আমার দায়িত্ব থাকে রান আটকে বল করা। আমি যদি রান থামিয়ে রাখতে পারি তাহলে আমার যে বোলিং পার্টনার থাকবে, সে উইকেট বের করে নিতে পারবে। ওয়ানডেতে সবসময় রোলটা থাকে রান থামিয়ে রাখার। হয়তো আমি উইকেট পাচ্ছি না, হয়তো আমার পার্টনার পাচ্ছে, বা আরেকজন পাচ্ছে। দিন শেষে কিন্তু দলের সাহায্য হচ্ছে। এটাই আমি চেষ্টা করি, আমার হয়তো উইকেটের দরকার নেই। আমার পার্টনার যে আছে, হয়তো মাশরাফি ভাই, মোস্তাফিজ, সাকিব ভাই বা রুবেল ভাই উইকেট বের করে দিবে। আমি রান থামিয়ে রাখতে পারলে দল চাপে পড়বে, আর অন্য বোলাররা উইকেট পাবে। এটাই আমার চেষ্টা, এর মধ্যে যদি ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে আমি উইকেট পেয়ে যাবো।

প্রশ্ন: এশিয়া কাপে ওপেন করেছেন, আরেকবার সুযোগ পেলে কি ওপেন করবেন?
মিরাজ: ফাইনাল ম্যাচে ওপেন করেছি, আমিও ভাবিনি আমি ফাইনালে ওপেন করবো। মাশরাফি ভাই ম্যাচের আগের দিন রাতে বলেছেন, সবাই যারা সিনিয়র আছে সবাই অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। এই জন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এটা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি, যে কোনো মুহূর্তে আমাকে দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় নামতে হতে পারে। আমার মানসিকতা থাকবে, যে কোনো সময় এমন কিছু হতে পারে।

প্রশ্ন: ২০১৯ আপনার প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
মিরাজ: সবার স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলার। যদি সুস্থ থাকি, তাহলে সুযোগ পেলে অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করবো। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভালো খেলার স্বপ্ন তো সবার থাকে। অবশ্যই দলের সবাই চাইবে ভালো করতে। সবাই তো ভালো করার জন্যই অনুশীলন করছে। অনেকে খেলবে, অনেকে খেলবে না। চেষ্টা করছে সবাই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর