× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বন্দরে ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর হামলা

বাংলারজমিন

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার

 বন্দরে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী এক পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে নারী ফাঁদ প্রতারক চক্রের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে এএসপি সার্কেল ‘খ’ অঞ্চলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ইস্ট টাউন মদনপুর এলাকায়। এ হামলায় ভুক্তভোগী পরিবার ও দুই সাংবাদিকসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার ৩ দিন পর বুধবার রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে এনামুল হক বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই হামলার প্রত্যক্ষদর্শী দুই সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার সাদীপুর ইউপির মালিপাড়া গ্রামের স্বপন ভূঁইয়া ওরফে আব্দুল মতিন ওরফে মফু মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার  প্রতারণার ফাঁদে ফেলে পাশর্^বর্তী জামপুর ইউপির বস্তল বউবাজার গ্রামের মৃত মুছা মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামানের কাছ থেকে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় করে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে সুমি আক্তার ওই পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবার নিরুপায় হয়ে সুমি আক্তার ও তার প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি  অভিযোগ করেন।
পরে পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ‘খ’ অঞ্চল) এএসপি খোরশেদ আলমের কাছে পাঠিয়ে দেন।  এ পরিপেক্ষিতে তিনি তার কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেন। নোটিশ পেয়ে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর সকালে ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান ও তার বড় ভাই শাহজাহান, ভাতিজা এনামুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ  মদনপুর ইস্ট টাউনের ভেতরে সার্কেলের  অস্থায়ী কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্য উপস্থাপন শেষে দুপুর দেড়টার দিকে কার্যালয় থেকে ইস্ট টাউনের গেটে পৌঁছালে সুমি আক্তারসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। এ হামলায় ভুক্তভোগী পরিবারের ৬ জন আহত হন। আহত অবস্থায় শাহজাহানকে অপরহণ করে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী মো. আলম ও শহিদুল ইসলাম খোকা নামের দুই সাংবাদিক  ছবি  তোলার চেষ্টা করলে তাদেরকেও হুমকি ও লাঞ্ছিত করে চক্রটি। এ ঘটনায় তিন দিন পর ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে এনামুল হক বাদী হয়ে বুধবার রাতে সুমি আক্তার, হাবিবুল্লাহ, বাবুল, আল আমিনসহ আরো ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামাকে অভিযুক্ত করে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  এর আগে সাংবাদিক আলম ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি জিডি করেন। যারনং ৮৩৭।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।  
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ‘খ’ অঞ্চল) এএসপি মো. খোরশেদ আলম বলেন, আমার কার্যালয়ের সামনে এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে বাইরে ঘটেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর