বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের উঠানোপাড়া গ্রামের সাইদ মিয়াকে (৬০) হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে তার মাদকাসক্ত ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে স্বপন। একই ঘটনায় বড় ভাইয়ের মেয়ে লিমাকেও (৫) আঘাত করে সে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। জানা যায়, স্বপনের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। সে কোনো রোজগার করতো না। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হতো।
বুধবার সকালে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে স্বপন তার স্ত্রী মোমেনা বেগমকে বলে ‘আজ তোকে খুন করবো’। ভয়ে বিকালে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রী-সন্তানদের না দেখে বাবার কাছে সে বিষয়ে জানতে চান স্বপন। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বাবা ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে স্বপন হাতুড়ি দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাবার মাথায় কয়েকটি আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। একই ঘটনায় সে তার বড় ভাইয়ের মেয়ে লিমাকেও আঘাত করে। তাদের উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সাইদ মিয়ার মৃত্যু হয়। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুর রহমান বলেন, স্বপনকে আটক করা হয়েছে। তার বাবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।