× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নরসিংদীর পৃথক জঙ্গি আস্তানার ঘটনায় ২ মামলা

বাংলারজমিন

নরসিংদী প্রতিনিধি
১৯ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার

নরসিংদীর শেখেরচর ও মাধবদী এলাকায় দুটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার ঘটনায় পৃথক ভাবে সন্ত্রাস দমন আইনে ২টি মামলা হয়েছে। জঙ্গির ঘটনায় শেখেরচরে বুধবার এবং মাধবদীর ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদীর সদর উপজেলার মাধবদী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শেখেরচরে ভগীরথপুর এলাকার বিল্লাল মিয়ার বাড়ির জঙ্গি আস্তানার ঘটনায় হাফিজকে আসামি করে এবং মাধবদী  পৌর এলাকার ছোট গদাইরচর (গাংপার) মহল্লার সাত তলা হাজী আফজালের বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গি মেঘনা ও মৌসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় পলাতক হিসেবে আরো ৩/৪ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেঘনা ও মৌকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফজলু   জানায়। উল্লেখ্য, সোমবার রাতে শেখেরচর ও মাধবদী গাংপাড় এলাকায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। এতে ২ জঙ্গি নিহত হয়। গ্রেপ্তার হয় ২ নারী জঙ্গি।
বাদীর নাম শেখের চরের ঘটনায় এ আই এনায়েত কবির ও মাধবদী ঘটনায় এ আই বাবু উত্তম কুমার বিশ্বাস।
‘গর্ডিয়ান নট’র নিহত জঙ্গির বাড়ি কালীগঞ্জে
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি জানান, নরসিংদীর শেখেরচরে ‘গর্ডিয়ান নট’-এ নিহত আবু আবদুল্লাহ আল বাঙালি ওরফে গোলাম মোস্তফা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী ঢাকার গাজীপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে জানা গেছে। নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের শেখেরচর ভগীরথপুর এলাকার একটি পাঁচতলা বাড়িতে তাদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই অভিযানে তারা নিহত হন। স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবু আবদুল্লাহ ওরফে মোস্তফা যশোর এমএম কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও সেখানে একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। গত ৮/৯ মাস ধরে আবু আবদুল্লাহ ওরফে মোস্তফার চলাফেরায় সন্দেহ জাগে এলাকাবাসীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মাস আগে আবু আবদুল্লাহ ওরফে মোস্তফা ও আকলিমা আক্তার মনি বিয়ে করেন। পড়াশোনা করায় মনি বাবার বাড়িতেই থাকতেন। অক্টোবর মাসের ১ তারিখে মোস্তফা ঢাকায় শ্বশুরালয়ে গিয়ে ৩ দিন থাকার পর স্ত্রীকে নিয়ে যশোরে চলে আসেন। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ ছিল না।
বেজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ বলেন, গত ৭/৮ মাস ধরেই মোস্তফার চলাফেরা আমরা সন্দেহ করতাম। তাকে অনেকবার নিষেধ করেছি, এই বিপদের পথ থেকে ফিরে আসতে। কিন্তু কথা শোনেনি। নিহত আকলিমা আক্তার মনির দুলাভাই হাসান আলী টেলিফোনে বলেন, আমরা তাদের নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত হয়ে নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা হয়েছি। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনূস আলী জানান, যাচাই-বাছাই করার জন্য তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর