× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আইয়ুব বাচ্চুর জন্য শোকগাথা

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার

শোকে কাতর দেশের সংগীতাঙ্গন। শোকাহত গোটা দেশ। বাংলা ব্যান্ডসংগীতের বিস্ময় পুরুষ আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে কাঁদছেন সবাই। মৃত্যুর খবরে স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে আসেন শীর্ষ সংগীতশিল্পীসহ এর সঙ্গে জড়িতরা। ভিড় জমান ভক্তরাও। আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে কথা বলেন শোবিজ অঙ্গনের মানুষেরা

রুনা লায়লা: আইয়ুব বাচ্চু নেই। কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

ফকির আলমগীর: আইয়ুব বাচ্চু আমার অনেক কাছের একজন মানুষ।
আমার কাছের একজন মানুষের চলে যাওয়াতে আমি বলার মতো ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কী বলবো, তাকে নিয়ে বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হয়। আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে আমি বলবো তার উদাহরণ শুধু সে নিজেই। আইয়ুব বাচ্চু সবার ভালোবাসার মধ্যে বেঁচে থাকবেন।

নাসিরউদ্দিন ইউসুফ: সকাল বেলা এমন একটি দুঃসংবাদ পেয়ে ঘুম ভেঙেছে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে ছুটে গেলাম। অনেক গুণী একজন মিউজিশিয়ানকে হারালাম আমরা। তার এই চলে যাওয়ায় সংগীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হলো তা পূরণ সম্ভব না।


রফিকুল আলম: আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন এমন একজন যিনি তার গানের মাধ্যমে কোটি মানুষকে বাঁধতে সমর্থ হয়েছেন। এটা সবার ভাগ্যে জোটে না। তিনি নিজের কর্মের মাধ্যমে আজীবন মানুষের মনে বসবাস করবেন। আমি তার আত্মার
শান্তি কামনা করছি।

ফাহমিদা নবী: বাচ্চু ভাই ছিলেন সংগীতের একজন অভিভাবক। তিনি চলে যাওয়ায় মাথার ওপর থেকে একটা ছায়া সরে গেল। আমি তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি।

রবি চৌধুরী: শুধু বাচ্চু ভাইকেই হারাইনি। এর সঙ্গে হারিয়েছি একটি প্রতিষ্ঠানকে। আমি হারিয়েছি একজন অভিভাবককে। এ মৃত্যু আমার জন্য এক বিরাট ধাক্কা। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনেই হাসপাতালে ছুটে এসেছি।
কুমার বিশ্বজিৎ: দেশের ব্যান্ডসংগীতে বাচ্চু ভাইয়ের শূন্যতা কখনোই পূরণ হবে না। তিনি আমাদের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাধ্যমে


ফুয়াদ নাসের বাবু: আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বাচ্চু ভাই নেই এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।
শাফিন আহমেদ: আরটিভিতে একটা মিউজিক্যাল অনুষ্ঠান করতেন তিনি। সেখানে আমিও গেয়েছি। অনেক কথা সেদিন বলেছি। আজ আবার সব মনে পড়ছে। আমাদের ব্যান্ডসংগীতে তিনি যা দিয়েছেন কখনো সেটি ভুলে যাওয়ার মতো নয়। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি।

শহীদুল্লাহ ফরায়জী: ২০০২ সালে আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে ‘বায়না’ অ্যালবামের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রথম কাজ হয়। কাছ থেকে দেখেছি তিনি কত বড় মনের একজন মানুষ। যার সংসার ছিল সংগীত। একবেলার ভালোবাসা শিরোনামে আরো একটি গান করেছি তার সঙ্গে। আজ তার ভক্তদের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে একবেলার ভালোবাসা নয়, তিনি সবসময়ের ভালোবা
সার মানুষ হয়ে থাকবেন হৃদয়ে।

শুভ্রদেব: বাচ্চু ভাই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর পাশাপাশি অনেক ভালো একজন মানুষ ছিলেন। এটা তার সঙ্গে যারা মিশেছেন কেবল তারাই বলতে পারবেন। তিনি বড় অসময়ে চলে গেলেন। তার এই চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: কখনো চলে গেলে টাইমলাইন জুড়ে টের পাওয়া যায় মানুষটা কতটা বেশি করেছিল। কখনো কখনো তাই না থাকাটাও হয়ে ওঠে থাকার অনেক বড় স্বাক্ষর। মানুষ হয়তো তাই চলে যায়। বাচ্চু ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনতে হলো আমাকে ব্যাংকক থেকে। এ সংবাদ শোনার পর স্মৃতি আর বর্তমানের ঢেউয়ে হতবিহবল আমি।

মৌসুমী: ‘লুটতরাজ’ ছবির ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’ গানটির কথা আজ মনে পড়ছে। অনেক স্মৃতি বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে- যা বারবার মনে পড়ছে। তিনি একাধারে রকস্টার, ভালো প্লেব্যাক গায়ক ও চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন।
ফেরদৌস: বাচ্চু ভাই আমার সঙ্গে কোথাও দেখা হলে কখনো নাম ধরে ডাকতেন না। ‘হিরো’ বলে ডাকতেন। সবশেষে গত ঈদের আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল উনার সঙ্গে। দেখা হলেই সুন্দর একটা হাসি দিয়ে জড়িয়ে ধরতেন। অনেক ভালো শিল্পী শুধু না, ভালো মনের একজন মানুষকে হারালাম আমরা।

কৌশিক হোসেন তাপস: বাচ্চু ভাই ছিলেন আমার প্রাণের মানুষ। তিনি ছিলেন তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। তার চলে যাওয়া যে কত বড় ক্ষতি হলো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর