চাকরি নিয়মিত করণ, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ কমানোর তিন দফা দাবিতে গত তিন দিন ধরে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ মিটার রিডার কাম-মেসেঞ্জার ঐক্যপরিষদ। ‘চুক্তি থেকে মুক্তি চাই, নিয়মিত চাকরি চাই’- এই স্লোগান নিয়ে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সম্মুখে ওই সমিতিতে কর্মরত ১২০ জন মিটার রিডার ও মেসেঞ্জাররা তৃতীয় দিনের মতো এ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২০১২ সালের ২০শে ডিসেম্বর ৪৪৯তম বোর্ড সভায় ১২৫৯২নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক একই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৯ বছর চাকরি করার পর অভিজ্ঞতার আলোকে অন্য সমিতিতে আবেদনের মাধ্যমে পরীক্ষাবিহীন ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নিয়োগ বাণিজ্যের পাঁয়তার চালাচ্ছেন।
আন্দোলনকারী মিটার রিডার আমিরুল কবির বলেন-‘পূর্বে মিটার ছিল এনালগ। যা সহজে রিডিং করা সম্ভব হতো। আর বর্তমানে মিটার হচ্ছে ডিজিটাল। যা রিডিং করতে এনালগ মিটারের চেয়ে প্রায় তিনগুণেরও বেশি সময় লাগে।
পূর্বে একজন রিডার মাসে দু’হাজার মিটার রিডিং এবং একজন মেসেঞ্জার দুই হাজার বিল বিতরণ করতো। এখন দু’টি পদ একত্রিত করে দু’জনের কাজ একজনকে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে গ্রাহকগণ ভোগান্তি ও হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। এমতাবস্থায় কাজের পরিমাণ কমানোসহ চাকরি নিয়মিতকরণ এবং অভিজ্ঞতা সনদধারীদের পুনর্বহাল প্রয়োজন।