নিলিমা রহমান (ছদ্মনাম), বাড়ি মানিকগঞ্জ। বিয়ের পাঁচ বছর কেটে গেছে। কিন্তু এখনো কোলজুড়ে আসেনি সন্তান। শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনা, পাড়া-প্রতিবেশীদের ভর্ৎসনার শিকার হতে হয় প্রায়শই। নিলিমার মা মেয়ের দুঃখের অবসান করতে কোনো এক স্থানীয় পীরের কাছে ছুটে যান। পীর দেন মন্ত্র পড়া জোড়া কলা। যা খেলে নাকি যমজ সন্তানের মা হবে সে। মা হননি তিনি।
তবে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা হাদিয়া নিয়েছিলেন সেই পীর। শুধু তাই নয়, জোড়া কলায় যমজ বাচ্চা হতে পারে এই ধারণায় অনেকেই এড়িয়ে চলেন জোড়া কলা।
যমজ বাচ্চা হওয়ার পেছনে জোড়া কলার যে ছিটেফোঁটা সম্পর্ক নেই তার প্রমাণ পাই আধুনিক বিজ্ঞানে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলে, একজন নারীর ঋতুচক্রের সময় যদি দুটি ডিম্বাণু নির্গত হয়। আর তা যদি আলাদা আলাদা দুটি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়, তবে যমজ সন্তান হতে পারে।