× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৭ মিনিটের অডিও /সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যার মর্মান্তিক বর্ণনা

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১৯ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার

সাত মিনিটের একটি অডিও টেপ। তাতেই উঠে এসেছে সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তার মর্মান্তিক বর্ণনা। বৃটেনের ডেইলি মেইল বলছে, জামাল খাসোগিকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সৌদি আরবের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সালাহ মুহাম্মদ আল তুবাইগি। তিনিই হাড় কাটা করাত দিয়ে জামাল খাসোগিকে টুকরো টুকরো করেন। এমন অভিযোগ করে বলা হয়েছে, এই তুবাইগি ২০০৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগোতে প্যাথলজিতে পড়াশোনা করেছেন। শিখেছেন কীভাবে ময়নাতদন্ত করতে হয়। গত ২রা অক্টোবর জামাল খাসোগি যখন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে প্রবেশ করে নিখোঁজ হন সেদিনই এই তুবাইগিকে বিমান থেকে নামতে দেখা গেছে ইস্তাম্বুলে। খাসোগির অ্যাপল ঘড়িতে যে সাত মিনিটের রেকর্ডিং রয়েছে তাতে হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে।
ডেইলি মেইল বলছে, ওই অডিও টেপে তুবাইগির কণ্ঠ শোনা যায়। তিনি খাসোগির দেহ বিচ্ছিন্নকরণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে শোনা যায়। একটি অজ্ঞাত সূত্র তাকে চিহ্নিত করেছে। তাতে একটি টেবিলের ওপর খাসোগির দেহ রেখে তা টুকরো টুকরো করার জন্য প্রস্তুতি নেন তুবাইগি। এ সময় তিনি তার স্কোয়াডকে বলেন মাথায় হেডফোন পরে নিতে। মিডল ইস্ট আই’কে এসব কথা বলেছেন ওই সূত্র। তিনি বলেছেন, ওই অডিও টেপে তুবাইগিকে বলতে শোনা যায়- যখন আমি এই কাজ করি, তখন গান শুনি। ওই টেপে আরো বলা হয়েছে, জামাল খাসোগিকে সৌদি কনসাল জেনারেলের অফিস থেকে পাশেই একটি টেবিলের ওপর নেয়া হয়। তারপর তার শরীরে অজ্ঞাত ওষুধ প্রয়োগ করে অচেতন করে ফেলা হয়। তারপর সেখানেই সার্জারিতে ব্যবহৃত পদ্ধতিতে তাকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়।

উল্লেখ্য, তুবাইগি সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। টুইটারে তিনি নিজেকে সৌদি সায়েন্টিফিক কাউন্সিল অব ফরেনসিকস-এর প্রধান হিসেবে পরিচয় দেন। গত ২রা অক্টোবর সৌদি আরবে যে টিমটি ইস্তাম্বুলে গিয়েছিল তাতে ডা. সালাহ আল তুবাইগিকে দেখা যায়। আতাতুর্ক বিমানবন্দরের ছবিতে তাকে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এতে এই হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়েছে। তবে তিনি এখন পর্যন্ত এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেন নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর