× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোগের ওষুধ পেয়েছেন মনোবিদ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার

তীরে এসে তরী ডোবা, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন রোগের নাম। বিশেষ করে ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনাল থেকে এ রোগ প্রকাশ্যে আসে। যার খেসারত দিতে হয় সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের ফাইনালেও। ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে দারুণ শুরুর পর এলোমেলো হয়ে যায় দল।  কেন এমন হচ্ছে! সেই রোগ সারাতেই টাইগারদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মনোবিদ আজহার আলী খান। দুদিন ধরে ক্লাসও নিচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের। দু’দিনে রোগ নিয়ে নানা কথা বলার পর কানাডা প্রবাসী এই  বাঙালি মনোবিদ খুঁজে পেয়েছেন মনের রোগ সারানোর ওষুধও। তবে তিনি মনে করেন, হঠাৎ করেই মনোবিদ সব পাল্টে দিতে পারবেন না। ধাপে ধাপেই মানসিকভাবে শক্ত করতে হবে ক্রিকেটারদের।
তিনি বলেন, ‘আগের সঙ্গে এখনকার তুলনা করলে বলব, তারা অনেক বেশি বদলে গেছে। এখন তাদের ভেতর অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস রয়েছে, মানসিক দিক থেকেও অনেক শক্ত হয়েছে তারা। কিন্তু আমরা এখন এটাকে খুব ক্লোজ মার্জিনে এসে এটাকে ধরে রাখতে পারি না। আসলে এই পর্যায়ে আসাও অনেক কোয়ালিটির ব্যাপার। তারা যেমন এই পর্যায়ে আসছে, তীরে আসার পর নৌকার ওজন যখন বেশি হয়ে যাচ্ছে, ওই সময়টা আর রাখতে পারছে না। আমাদের সুপ্ত প্রতিভাকে আরও বেশি বিকশিত করার চেষ্টা করতে হবে, যাতে আমরা সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে সবকিছু মেইটেইন করতে পারি, অবশ্যই এটা একটা স্কিল। এটা অর্জন করার জন্য প্র্যাকটিস করতে হবে। আমরা যখন স্কিল ট্রেনিং করব প্রতিদিন, তখন এই মেন্টাল মাসলগুলো ডেভেলপ হবে। এখন পর্যন্ত এটাই আমার মনে হয়েছে। এখন আমাদের পরের ধাপে যেতে হবে।’
টাইগারদের তীরে এসে তরী ডোবার রোগ সারানো যাবে কি না তা নিয়ে আজহার আলী খান বলেন, ‘হ্যাঁ, সম্ভব। আমরা সব দেশকেই হারাচ্ছি, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। এই বিশ্বাসটা যখন আরও শক্ত হবে, তখন ধারাবাহিকতা আরও বাড়বে। আমরা টুর্নামেন্টগুলোতে যখন কাছাকাছি চলে আসি, তখন কিন্তু প্রত্যাশার চাপ অনেক বেড়ে যায়। তখন এই মেন্টাল টাফনেস, মেন্টাল মাসলগুলো স্ট্রং না হলে আমরা সেটাকে মেন্টেইন করতে পারি না। যদি আমরা ওই মেন্টাল মাসলটা ডেভেলপ করি, তাহলে এটা সম্ভব।’  আর এই রোগ সারানোর ফর্মুলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফর্মুলা তো আমরা দুই দিন ধরে অনেক আলোচনা করে আসছি। একটি-দুটি ফর্মুলা না। আপনি যদি সবগুলোকে এক করেন, তাহলে সেটা হয় মেন্টাল ফিটনেস। মেন্টাল ফিটনেস অর্জন করার জন্য ফিজিক্যাল ফিটনেস একটা  কোয়ানটিটি নয়। এখানে স্ট্রেন্থ, স্পিড আছে। মেন্টাল ফিটনেসের অনেকগুলো জিনিস আছে, ইংগ্রিডিয়েন্স আছে। যেগুলোর কম্বিনেশন করলে মেন্টাল ফিটনেস অর্জন করা সম্ভব হয়।’
মনকে সময় সময় শক্ত রাখতে মনোবিদের পরামর্শ নিয়মিতভাবে নেয়া দরকার। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় পারসনালি সেশন করে থাকে। কিন্তু আমি যখন এমন সেশন করি, তখন সবাইকেই অনেক ইন্সপায়ারড মনে হয়।
তাঁরা চায় এমন সেশন আরও হোক। আমরা যদি এমন সেশনগুলো সিস্টেমের অংশ করে নিতে পারি, কন্টিনিউশনটা রাখতে পারি, তাহলে আমরা দ্রুত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর