কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে দেয়া হলো না নারীদের। অথচ ভারতের সুপ্রিম কোর্র্ট সব বয়সের নারীদের অবাধ প্রবেশাধিকারের রায় দেয়ার পরে বুধ ও বৃহস্পতিবার চেষ্টা করেও রায় বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বাধায় কোনো নারী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। এদের মধ্যে দুজন নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভারতীয় সংবাদদাতা এবং তার বিদেশি সহকর্মী ছিলেন। প্রথা মেনে পাঁচ দিন ধরে পুজোর জন্য বুধবারই শবরীমালা মন্দির খুলে দেয়া হয়েছে। শবরীমালা মন্দিরের পুরোহিতরা কোনো ঋতুবতী নারীকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দিতেন না। ফলে ১০ থেকে ৫০ বছরের কোনো নারীর প্রবেশাধিকার এত দিন নিষিদ্ধ ছিল। বহু আন্দোলনের পরে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, মন্দিরের এই প্রবেশ বিধি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। উপাসনালয়ে সব মানুষের ঢোকার অধিকার থাকা উচিত।
সেই রায়ের পরে বুধবার লিবি সিএস নামে এক সাংবাদিক ও মাধবী নামে অন্ধ্রের বছর ৪০-এর এক মহিলা মন্দিরের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা হলেও বিক্ষোভকারীরা তাদের ঘিরে ধরে হেনস্তা করে।
পুলিশ তাদের উদ্ধার করার পরে দুই মহিলা ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবারও নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভারতীয় সংবাদদাতা সুহাসিনী রাজ ও তার বিদেশি সহকর্মীকে নিয়ে মন্দিরের উদ্দেশ্যে পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করলে প্রবল বিক্ষোভ ও অবরোধের মুখে তাদেরও ফিরে আসতে হয়েছে। অথচ মন্দিরের রাস্তায় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি বিক্ষোভ ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি করাও হয়েছে। কিন্তু তবু নারী পুণ্যার্থীদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার বন্দোবস্ত করতে পারেনি প্রশাসন। অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তারা নারীদের মন্দিরে না-যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই কারণেই তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। ‘শবরীমালা বাঁচাও কমিটি’ নামে একটি সংগঠন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার গোটা এলাকায় বন্্ধ ডাকা হয়েছে।