× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মহানবীর রওজা জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
১৯ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাতে মসজিদে আল-নববীতে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন। চারদিনের এক সরকারি সফরে বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ  মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন এবং বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন। এর আগে, তিনি সৌদি আরব এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রিয়াদ থেকে পবিত্র মদিনা নগরীর প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছান।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল দুপুরে সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
রাতে এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী আজ দেশের উদ্দেশে জেদ্দা ত্যাগ করবেন।
সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক: সৌদি যুবরাজ, উপ-প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, তিনিও এ উন্নয়নের অংশীদার হতে চান। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সালমানের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সৌদি যুবরাজকে উদ্ধৃতি করে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশের যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, সে সম্পর্কে আমি অবগত আছি এবং এই উন্নয়নের বিকাশে আমিও তার অংশীদার হতে চাই।’ তিনি বলেন, সালমান তার কর্মকর্তাদের বাংলাদেশকে দেখে আসা এবং বাংলাদেশে উন্নয়নের কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ পাঠানোর কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রয়োজন।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, গত রাতে রিয়াদের রয়্যাল প্যালেসে অত্যন্ত উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ‘প্রায় আধা ঘণ্টা স্থায়ী এই বৈঠকে তিনি (সালমান) খুবই উৎফুল্ল ছিলেন।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যুবরাজকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, তখন তিনি (যুবরাজ) অত্যন্ত উষ্ণতার সঙ্গে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং বলেন, ‘আমি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করব।
শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ করব না বরং আমরা আমাদের যে কোনো সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শান্তি বজায় রাখা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে যুবরাজ বলেন, ‘আমরাও এটা চাই এবং আমরা সবাই একত্রে শান্তিতে বসবাস ও উন্নয়ন করতে চাই।’
যুবরাজ বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের চমৎকার সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো তা বৃদ্ধি পাবে।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সালমানের বৈঠকে মূলত দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। এর একটি হচ্ছে- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং অপরটি হচ্ছে- প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়।
আমরা আশা করছি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সৌদির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল খুব শিগগির বাংলাদেশ সফর করবেন এবং দেশটি বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার জন্য খুবই উৎসাহী।

কনস্যুলেট ভবনের ভিত্তি স্থাপন: বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের দেশের বাইরে যাওয়ার আগে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, যারা চাকরি নিয়ে বিদেশে যেতে চান, তাদের প্রশিক্ষণ নেয়ার আগ্রহ কম। অল্প কিছু টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার পর তারা বিপদে পড়েন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা চাকরি নিয়ে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক সরকার তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। ‘এই প্রশিক্ষণ তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় বিদেশে অবস্থানকালে তারা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হন। তিনি বলেন, অনেক মানুষ যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকায় বিপদের শিকার হন। ‘এটা খুবই দুঃখজনক এবং যাতে কেউ এ কাজ না করে সে ব্যাপারে মনোযোগ দেয়া দরকার।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর