নেদারল্যান্ড ও ফ্রান্সের পর এবার যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনও সৌদি আরবের বিনিয়োগ সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহ¯পতিবার দেশদুটি ঘোষণা করেছে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভ নিউচিন ও বৃটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স মরুভ’মির ড্যাভোস খ্যাত এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না। এছাড়া বুধবার আইএমএফের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, সংস্থাটির প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না। মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল আইএমএফ প্রধানের। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকান্ডে দেশটির সরকারের স¤পৃক্ততা দিনদিন ¯পষ্ট হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান (এমবিএস) বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সৌদি আরবে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। ভবিষ্যতে তেলের ওপর নির্ভরতা কমানো তথা আধুনিক সৌদি আরব বিনির্মানের লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন দেশটির। সালমানের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনা প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক বিনিয়োগকারীই আগ্রহ দেখিয়েছিল সেখানে বিনিয়োগ করতে।
বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতেই তাই আগামি ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করে সৌদি আরব। কিন্তু তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক খাসোগির হত্যাকান্ড সবকিছু বদলে দিয়েছে। খাসোগির অন্তর্ধানের পর সৌদি আরবে বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ অনেক ব্যবসায়ী ও অর্থনীতির শীর্ষ ব্যক্তিরা। বৃটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্রানসন সৌদি আরবে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খাসোগির অন্তর্ধানের পর তিনি তার এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভ নিউচিন এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা¤প ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক প¤েপওর সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি সৌদি সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড সরকারও বয়কট করেছে সৌদি আরব আয়োজিত ওই সম্মেলন।