× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরকারকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে হবে: মওদুদ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ১৯, ২০১৮, শুক্রবার, ৩:২৯ পূর্বাহ্ন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সময় কম।  অল্প সময়ের মধ্যে এই সরকারের বাঁধ ভাঙতে হবে। মাঠে নামতে হবে, যাতে সরকার বাধ্য হয় আলোচনায় বসে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ বলেন, সরকার মনে করেছিল, খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করলে বিএনপি  খণ্ড-বিখণ্ড   হয়ে যাবে। বর্তমান বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকার বিচলিত দাবি করে তিনি বলেন,  বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে তারা এটা প্রমাণ করেছেন তারা ভয় পান। এই ঐক্যের মাধ্যমে আমরা যে সঠিক কাজ করেছি সরকারের সমালোচনা শুনেই বুঝতে হবে। নাহলে এত সমালোচনা করতে হতো না।
এত অশালীন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে প্রমাণ হয়ে গেছে আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে পরাজিত হবে।

দেশের মানুষের মকধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আজকে গ্রামগঞ্জের মানুষ একটাই কথা বলে, ঐক্য হয়ে গেছে। মনে একটা আশা তৈরি হয়েছে। একটা আশার আলো দেখতে পারছে দেশের মানুষ। বিএনপির উপর একটা আস্থা ফিরে পেয়েছে মানুষ। আশা দেখছে আগামী নির্বাচনে নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারবে। সরকার এককভাবে নির্বাচন করতে চায় অভিযোগ করে মওদুদ বলেন, দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় ,বর্তমান মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীও জিততে পারবে না। এই ভয়ে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। নির্বাচনের আর তিন মাসও নাই, কিন্তু সরকারের আচরণ দেখে বুঝা যায় তারা আজকে কতটা ভীত। সরকারের উচিত ছিল নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। কিন্তু তারা উল্টা প্রমাণ করেছেন নির্বাচনের পরিবেশের দরকার নাই। একক নির্বাচন তারা করতে চান। শুধু এই লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। সরকারই ইচ্ছেকৃত ভাবে পরিবেশ নষ্ট করছে।

মওদুদ বলেন, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে এই পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার গায়েবি মামলা দিয়েছে। ঘটনা ঘটেনি মামলা দিয়ে রেখেছে। এক একটি মামলায় ৪০০-৫০০ আসামি। বিভিন্ন জেলা থেকে আজকে নেতাকর্মীদের আগাম জামিনের জন্য আসতে হচ্ছে। সাড়ে ৩ লাখ আসামি করেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এটা কি নির্বাচনের পরিবেশ? ভুতুড়ে মামলা করে সব নেতাকর্মীদের নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম, সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর