× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল দরিদ্র মানুষের ভরসার কেন্দ্র

বাংলারজমিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

কর্মস্পৃহা আর সৎ চেষ্টা থাকলে যে অসাধ্য সাধন করা যায়, তার-ই একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত ঝিনাইদহের চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রটি। আশপাশের জেলায় এ ধরনের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলো যখন যোগ্য নেতৃত্ব ও অর্থ সংকটে বন্ধ প্রায়, তখন ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি বসিয়ে নির্বিঘ্নে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই এলাকার চক্ষু রোগীদের। শুধু তাই নয় দূর-দূরান্ত জেলা থেকে রোগীরা আসছেন চোখের অপারেশন করাতে। বলা যায় ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল এখন হতদরিদ্র গরিব মানুষের এক মাত্র ভরসার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০০৩ সালে দেড় একর জমির ওপর এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। সে সময় নির্মাণকাজ, যন্ত্রপাতি কেনা ও অচল লিফট নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। চক্ষু হাসপাতালে ডা. মো. আবদুল হালিমের নেতৃত্বে রয়েছে চারজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
অন্য চিকিৎসকরা হলেন ডা. আবদুর রউফ, ডা. সুবোধ রঞ্জন বিশ্বাস ও ডা. আরাফাত রহমান। প্রতিদিন এসব চিকিৎসকরা সাড়ে তিন’শ থেকে চার’শ রোগীর দেখছেন। রোগীরা কাউন্টার থেকে মাত্র ৫০ টাকার টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে পারছেন। হাসপাতালটিতে এখন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ৪১ জন। সবাই সরকারের বেতন কাঠামো মোতাবেক বেতন পাচ্ছেন। ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিলন হোসেন জানান, হাসপাতালটিতে এখন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বসিয়ে লেন্স স্থাপন, আওপি, রিফ্রাকশন ও ফেকো সার্জারি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় আমরা অনেক কম টাকায় চক্ষু রোগীদের সেবা দিচ্ছি। তারপরও প্রতি বছরের খরচ মিটিয়ে আমরা ১০ লাখ টাকার মতো লাভ করছি। সেই টাকা জমিয়ে জমিয়ে আমরা নিজেদের অর্থায়নে মূল্যবান যন্ত্রপাতি কিনছি।
ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান জানান, এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা হতদরিদ্রদের সেবা করতে পারছি ভেবে মনের মধ্যে খুব ভালো লাগে। তিনি বলেন, মাত্র ১২ হাজার টাকায় আমরা ফেকো সার্জারি করছি। অন্য স্থানে হলে এই অপারশেনের জন্য অনেক বেশি টাকা লাগতো। তাছাড়া অল্প দামে আমরা লেন্স স্থাপন করে দিচ্ছি। অনেক সময় খুব গরিব রোগীদের মানবিক কারণে একেবারেই ফ্রি অপারেশন করা হয়। তাছাড়া হতদরিদ্রদের মধ্যে কেউ আবেদন করলেই তার অপারেশনের মূল্য কমিয়ে দেয়া হয়। তিনি চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মচারীদের প্রশংসা করে বলেন, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রটি নিয়ে আমরা গর্ব করি। চুয়াডাঙ্গার তিওরবিলা থেকে আগত বৃদ্ধা হাজেরা খাতুন জানান, তিনি ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা করে এখন অনেকটা সুস্থতা বোধ করেন। তিনি বলেন, এখানকার ডাক্তার এবং সেবিকারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে রোগী দেখেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর