চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক। ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত সড়কজুড়ে। প্রতিদিন বাস, ট্রাক, টেম্পো, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের হাজারো যানবাহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। তবে, সড়কের বেহাল অবস্থায় যানবাহন-যাত্রী কারো স্বস্তি নেই।
২০১৭ সালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ করে সড়কটির মেরামত কাজ করায়। কিন্তু সেই কাজ একমাসও টিকেনি। মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই কাজ করানো হয়। ওই বছরের ২২শে নভেম্বর সড়কের মেরামত কাজ শুরু করে ১৯শে ডিসেম্বর কাজ শেষ করে ঠিকাদার।
কাজ শেষ হওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই সড়কটি আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে আসে। এখন সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। সরজমিন দেখা গেছে সড়কের আমতলীবাজার, মির্জাপুর, আড়িয়ল, মিলনবাজার, কালীবাজার, চম্পকনগর, নোয়াগাঁও, পত্তন, শ্রীপুর, আদমপুর, সিঙ্গারবিল, টানপাড়া ও খড়মপুর বাজার এলাকার বিভিন্ন অংশ ভাঙাচোরা ব্যাপক। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরা মোড় থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরগামী পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। তাছাড়া বিজয়নগর, আখাউড়া ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার লাখো মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে চান্দুরা থেকে আখাউড়া বাইপাস সড়ক পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের নির্মাণ কাজ হয়। এর আগে ১৯৯৬ সালে সড়কটির প্রশস্ততা বাড়ানো হয়। কিন্তু কয়েক বছর পরই সড়কটি ভাঙতে শুুরু করে। ক্রমে বাড়তে থাকে ভাঙন। ২০১৫ সালের দিকেও সড়কটি সংস্কার করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন জানান, এলজিইডি গত তিন বছরে এই সড়কে কোনো কাজ করেনি। ২০ কোটি টাকা খরচ করে সড়কের কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।