রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন মন্দিরে অবিরাম ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে সিঁদুর উৎসব। আয়স্থ (সধবা) হিন্দু নারীদের ভিড় উপচেপড়ে মণ্ডপে মণ্ডপে। দেবী দুর্গার চরণে ভক্তি নিবেদন শেষে তারা একে-অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছেন। সনাতন ধর্মের অন্যতম উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেইসঙ্গে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী চলে প্রতিমা বিসর্জন। বিদায়ের বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে তাদের মন। তবে এর আগে সকাল থেকেই মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন মন্দিরে দেখা গেছে সিঁদুর শুভন ও শান্তিজল গ্রহণের জন্য রমণীদের ভিড়।
মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয় নারীদের সিঁদুর খেলা। আনন্দের বন্যায় ভেসে যান তারা। নারীরা তাদের এবং পরিবারের কল্যাণে এই ধর্মীয় আচার পালন করেন। একে-অপরকে আলিঙ্গন করে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান তারা।
লাল সিঁদুর দেবী দুর্গার পায়ে নিবেদন করে সেই সিঁদুর পা থেকে তুলে নিয়ে সিঁথিতে দিয়ে আগামী দিনের জন্য শুভ কামনা করা হয় মন্দিরে মন্দিরে। কিন্তু সিঁদুর খেলা হিন্দুদের রঙ খেলার থেকে কিছুটা ভিন্ন বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এই খেলা কেবল বিবাহিত নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই বৈশিষ্ট্যের কারণ হলো সিঁদুর বিবাহিত নারীদের প্রতীক। তাই অবিবাহিত নারী ও বিধবাদের জন্য এ খেলার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ রয়েছে। এরপরই ভক্তদের মনে বেজে ওঠে বিদায়ের সুর। দেবী দুর্গাকে বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয় নগরীর মন্দিরগুলোতে।