× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দিনাজপুরে কমলা চাষ

বাংলারজমিন

শাহ্‌ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

 ধানের জেলা দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ শুরু হয়েছে। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি কমলা চাষের অনুকূলে থাকায় অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। শখের বসে কমলা চাষ করে আশাতীত সাফল্য পাওয়ায় এখন অনেকে বাণিজ্যিকভাবে এগিয়ে আসছেন কমলা চাষে।
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে গাছে-গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে ফিকে হলুদ রঙের সুস্বাদু মিষ্টি কমলা। বাতাসে কমলার টক-মিষ্টির গন্ধ। উৎপাদিত এসব কমলা স্বাদে মিষ্টি এবং আকারেও বড়। বাসা-বাড়ির আঙিনার পাশাপাশি ফসলি জমিতেও চাষ হচ্ছে কমলা। কমলা চাষ করে আশাতীত সাফল্য পাওয়ায় কমলার চাষ কৃষকদের মাঝে আশার সঞ্চারণ জাগিয়েছে।
লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ শুরু হয়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও বিরল উপজেলায়। অনেক গাছে ফল ধরছে।
আবার অনেক গাছ রয়েছে নিবিড় পরিচর্যায়। গাছগুলো বেশ পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের কৃষক মো. মতিউর রহমান মতি জানিয়েছেন, তিনি ২ বছর আগে
৬০টি কমলা গাছের বাগান করেছেন। ৫০টির মতো গাছ বেঁচে আছে। কমলাও ধরেছে। সুমিষ্ট কমলা খাচ্ছেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। কমলা চাষে সফলতা লাভ করবেন বলে আশাবাদী তিনি। বিরলের পুরিয়াগ্রাম, রানীপুকুর, বটহাট ও রাঙ্গন গ্রামে এবং বীরগঞ্জের মরিচা গ্রাম, সুজালপুর, বড় শীতলাই মাস্টারপাড়া, সাতোর চৌপুকুরিয়া গ্রামে বাসা-বাড়ির আঙিনার পাশাপাশি ফসলি জমিতেও চাষ হচ্ছে
কমলা। দূরদূরান্ত থেকে কমলা বাগান ও গাছ দেখছে ছুটে আসছে মানুষ। এসব কমলা গাছ অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই কমলা চাষে। বিরল উপজেলার ১০নং রানীপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আজম ৫০টি কমলা গাছ লাগিয়েছে। তার গাছে ফল এসেছে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল জানিয়েছেন, হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুরের অবস্থান হওয়ায় ভৌগোলিক কারণে এ জেলায় কমলা চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা রয়েছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে কৃষকরা সফলতা পেতে পারেন। ব্যাপকভাবে কমলা উৎপাদন করা গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে এবং দেশে উৎপাদিত কমলা দিয়ে পুষ্টির চাহিদা মেটানো হবে সম্ভব। এ অঞ্চলে কমলা চাষের ধুম পড়েছে। কমলা চাষ করে ঘুরেছে, অনেকের ভাগ্যেও চাকা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে কমলা চাষের পরিধি আরো বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর