আদালতের নির্দেশে মান্নান বেপারী (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসীর লাশ কবর থেকে দুই মাস ৬ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম শাহরিয়ার রহমানের উপস্থিতিতে এই লাশ উত্তোলন করা হয়। কালকিনি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ঐজিউদ্দিন বেপারীর ছেলে মান্নান বেপারী (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে বসবাস করে দেশে থাকা তার স্ত্রী পিংকি আক্তার হ্যাপির (২২) কাছে টাকা পয়সা পাঠাতেন। দুই মাস আগে মান্নান দেশে এসে স্ত্রীর কাছে পাঠানো টাকা পয়সার হিসাব চায়। গত ১০ই আগস্ট শ্বশুরবাড়িতে গেলে শ্বশুর শাশুড়ী ও পিংকির ভাইয়েরা মিলে মারপিট করে। মারধরের একপর্যায় তার মৃত্যু হয় এবং তারা মান্নানের বাড়িতে মোবাইল ফোনে বলে সে অ্যাটাক করেছে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়া হবে। খবর শুনে তাকে নিয়ে আসলে কালকিনির ভুরঘাটায় গাড়ির মধ্যে তাকে মৃত পাওয়া যায় এবং লাশ গোসলের সময় তার ডান হাতে গলায় ও বুকে আঘাতের দাগ দেখতে পান। অভিভাবকদের সন্দেহ হয় যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই এসকেন্দার বেপারী বাদী হয়ে মান্নান বেপারীর স্ত্রী পিংকি আক্তার হ্যাপি (২২), জরিনা বেগম (৫০), কাঞ্চন মল্লিক (৫৭), মিজান মল্লিক (২৭) ও মনির (৩০) সহ পাঁচজনকে আসামি করে গত ৩রা সেপ্টেম্বর মাদারীপুর আদালতে একটি মামলা করেন। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ কালকিনি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, ‘লাশটি দাফনের আগে ময়নাতদন্ত করানো হয়নি। তাই এখন কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে।
এরপরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে নিহত মান্নান বেপারীর ভাই এসকেন্দার বেপারী বলেন আমার ভাইয়ের ইতালি থেকে পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই আমার ভাইকে মেরে ফেলছে, আমরা এর সঠিক বিচার চাই।