উল্লাপাড়ার বহুল আলোচিত জামায়াত নেতা ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকোলে ঢাকা বিমানবন্দর থানা পুলিশ বিমানবন্দর এলাকা থেকে রাশিদুলকে গ্রেপ্তার করে। উল্লাপাড়া থানা পুলিশ শুক্রবার ভোরে তাকে উল্লাপাড়ায় নিয়ে আসে। গত ১ অক্টোবর উপজেলার কয়ড়া চরপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ছাইফুল ইসলাম খোকার বাবার কুলখানি অনুষ্ঠানে উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ দাওয়াত খেতে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ছাইফুল ইসলাম খোকার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে হাতকড়া পরা অবস্থায় আলাউদ্দিন আল আজাদকে ছিনিয়ে নেয়। এতে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। এই ঘটনায় উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক রিপন সাহা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মিলে মোট ২২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অন্যতম আসামি রাশিদুল ইসলাম।
ঘটনার পর থেকে সব আসামিই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে জামায়াত নেতা ছিনতাই ঘটনার পর ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত ছিনতাই হওয়া আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিরাও এখন পর্যন্ত ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। পুলিশের হাত থেকে জামায়াত নেতা ছিন্তায়ের ঘটনার উল্লাপাড়ায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। উল্লাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, ঢাকায় রাশিদুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাপাড়া থানা পুলিশের একটি দল ঢাকায় গিয়ে তাকে নিয়ে আসে। বর্তমানে থানা হেফাজতে রাশিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূল আসামিসহ অপর আসামিদের খুব শিগগিরই ধরা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা।