× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউএনও বদলিতে তেলেসমাতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসের

বাংলারজমিন

জাবেদ রহিম বিজন/মাহবুব খান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

    হুটহাট বদলিতে অস্থির ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রশাসন। আতঙ্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। আজ এখানে বদলির আদেশ, কাল আরেক জায়গায়। বদলি হওয়া কর্মকর্তা এক কর্মস্থলে যাওয়ার বিষয়ে স্থির হওয়ার আগেই ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে আরেক জায়গায় যাওয়ার আদেশ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের এমন কীর্তিতে বেকায়দায় কর্মকর্তারা। বার্ষিক পরীক্ষার আগে হঠাৎ বদলিতে নিজ কর্ম এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সন্তানদের নিয়েও ভাবনায় পড়েছেন তারা। জেলার তিন ইউএনও এমন তেলেসমাতি বদলির শিকার। সরাইল ও বিজয়নগরের ইউএনও-কে ৬ দিনের মধ্যে দুই স্টেশনে বদলি করা হয়েছে।
৯ই অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনার অফিসের ৮২৬নং স্মারকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাতকে বদলি করা হয় নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায়। একই স্মারকে কমিশনার অফিসে ন্যস্ত মেহের নিগারকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে পদায়ন করা হয়। মাত্র ৪ দিন পর ১৪ই অক্টোবর ৮৪০ নং স্মারকে উম্মে ইসরাতকে সেনবাগের ইউএনও দেখিয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলায় বদলি করা হয়। আর নাসিরনগরের ইউএনও মো. মাসউদ পারভেজ মজুমদারকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় পদায়ন করা হয়। অন্যদিকে মেহের নিগার সরাইল না এলেও তার কর্মস্থল সরাইল দেখিয়ে একই জেলার বিজয়নগর উপজেলায় পদায়ন করা হয়। আর বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আফরোজকে বদলি করা হয় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। সবশেষ খবর অনুসারে বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান তার নিজ জেলা কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এ এস এম মুসাকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করেছেন।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন পূর্ব বদলির নামে প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক বলে যারা পরিচিত তাদেরকেই বদলিতে হয়রানি করা হচ্ছে বেশি। সকাল-বিকাল তাদের বদলির আদেশ করা হচ্ছে। বর্তমান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে এই জেলায় যোগ দেন। এখানে তার পরিচিত অনেকেই রয়েছেন। অভিযোগ এমন- অনেকের কথা শুনেও ইউএনও বদলির আদেশ হচ্ছে। তা ছাড়া পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলায় বিভাগের এই শীর্ষ কর্মকর্তার বাড়ি হওয়ায় তার আসা যাওয়ার পথে সরকারি ছুটির দিনেও প্রটোকল দিতে হয় ডিসি, ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের। এর ব্যত্যয় হলেও ব্যবস্থা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর