× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একটি কফিন ঘিরে ভালোবাসার মিছিল

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

রুপালি গিটারের ফেরিওয়ালার গান মন জয় করেছিল সব বয়সী মানুষের। তাইতো তিনি শ্রেণি-পেশার গণ্ডি পেরিয়ে পরিণত হয়েছিলেন সর্বমানুষের আইকনে। সেই প্রিয় মানুষ, প্রিয় শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ বিদায় জানাতে গতকাল শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। ভালোবাসা আর শোকের মিছিল ছিল একটি কফিন ঘিরেই। হাতে ফুল, চোখে পানি। আইয়ুব বাচ্চু অশ্রু গোপন করার কথা গানে বলে গেলেও তার ভক্তরা তা পারেননি। শহীদ মিনারের জনস্রোতের পর জাতীয় ঈদগাহের জানাজায়ও ছিল বিপুল উপস্থিতি। আজ শনিবার চট্টগ্রামে দ্বিতীয় জানাজার পর মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী।


গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মিছিলে শামিল হন ভক্ত, অনুরাগী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যান্ড সংগীতকে তিনি এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আমার বিশ্বাস, নতুন প্রজন্ম তার দেখানো পথে চলে নবচেতনায় উজ্জীবিত হবে। তিনি বলেন, আমরা জানি প্রতিটি কনসার্ট তিনি জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু করতেন। শিরোনামহীন ব্যান্ডের সাবেক ভোকাল তানযীর তুহিন বলেন, বাচ্চু ভাই আমাদের চেয়ে বয়সে বড় হলেও সবসময় তরুণই ছিলেন। অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে তিনি ব্যান্ড মিউজিক করতেন। আমরা যেন সেটা ধরেই বেঁচে থাকি। ফিডব্যাকের ফুয়াদ নাসের বাবু বলেন, “গানের জন্য তার পরিশ্রম, সাধনা ও প্যাশন ছিল সার্বক্ষণিক। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন।

১৬ কোটি মানুষের মধ্যে একজন আইয়ুব বাচ্চু। শিল্পী সুমনা হক বলেন, আশির দশক থেকে ওনার সঙ্গে কাজ করেছি। কত কত স্মৃতি! সবগুলো এখন একে একে হৃদয়ে বাজছে। সংগীত সাধনা ও জনপ্রিয়তার চূড়ায় থাকাবস্থায় তিনি চলে গেছেন। এই যে হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানাতে তাদের উপস্থিতি এটাই তার বড় প্রাপ্তি। শিল্পী রবি চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ, সাফিন আহমেদ, নকিব খান, নাসিম আলী খান, তপন চৌধুরীদের মতো সতীর্থদের সামনে রাখা কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান হাজার হাজার মানুষ। শিল্পী তপন চৌধুরী বলেন, এখানে এসে আবার বুঝেছি, বাচ্চুর জন্য এত মানুষ পাগল! এটা একটা মানুষের অনেক বড় পাওনা। রবি চৌধুরী বলেন, “কিছু বলতে আসিনি। শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। বাচ্চু আমার চট্টগ্রামের বন্ধু। বাচ্চু তার কর্ম দিয়ে আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, সংগীতের যে নতুন ধারা ব্যান্ড সংগীত সেখানে আইয়ুব বাচ্চু উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার সংগীত গণমানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত, মানুষের জন্য তিনি গান গেয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর