× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রেণিকক্ষের অভাবে ভোগান্তি

বাংলারজমিন

এম এ সাইদ খোকন, আমতলী (বরগুনা) থেকে
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

আমতলী উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমচিলা গ্রামে ১৯৬০ সালে স্থাপিত আমিনিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসাটি সংস্কার, মেরামত ও নির্মাণের অভাবে এখনো অবহেলিত। দেখার কেউ নেই। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সুনামের সঙ্গে পরিচালিত মাদরাসাটির ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষায় উপজেলায় শীর্ষে অবস্থান করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে অধ্যয়ন করছেন। প্রতি বছর মাদরাসাটিতে উপজেলায় ইবতেদায়ী ১ম শ্রেণি থেকে ফাজিল (ডিগ্রি) পর্যন্ত ভালো ফলাফল করছেন।
অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর মাধ্যমে ৫৮ বছরে ৪টি টিনশেড ভবনে এই মাদরাসার পাঠদান কর্মসূচি চলছে। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলও আশানুরূপ। মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাওলানা এ কে এম রুহুল আমিন খান বলেন, ১৯৬০ সালে স্থাপিত মাদরাসাটি ১৯৮০ সালে এমপিওভুক্তির মধ্য দিয়ে ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে মাদরাসাটি বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০০।
অতিপ্রাচীন মাদরাসা হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানের জন্য কয়েকটি ভবন ও ছাত্রাবাস প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ছাত্রছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই ছাত্রাবাস বানিয়ে পড়াশোনা করছেন। মাদরাসাটির একাডেমিক ভবন ১৯৯৭ সালে নির্মিত হওয়ার পর আর কোনো মেরামত হয়নি। বর্তমানে একডেমিক ভবনের ছাদ ছুইয়ে পানি পড়ে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দাখিল, আলিম ও ফাজিল ডিগ্রি পরীক্ষায় সুন্দর ফলাফলসহ সুচারুরূপে পরিচালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী হওয়ায় সিড়র ও আইলার সর্বনাশা প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছাসে মাদরাসা গৃহ, ছাত্রাবাস ও আসবাবপত্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে ও সরকার কর্তৃক সামান্য রবাদ্দকৃত অর্থের সমন্বয় মাদরাসা গৃহ পুনঃনির্মাণ করা হয়। তাতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বহু টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় মাদরাসা গৃহ, ছাত্রাবাস ও প্রয়োজনীয় ফার্নিচার নির্মাণ করতে পারেনি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মাদরাসাটি একটি সুপ্রাচীন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। মানবসম্পদ উন্নয়নে ও ইসলামী শিক্ষা প্রচারে প্রশংসনীয়। মাদরাসাসংলগ্ন একটি শিশু সদন (এতিমখানা) পরিচালিত হচ্ছে। শিশু সদনের এতিম ও অসহায় ছাত্রগণ এ প্রতিষ্ঠান থেকে ফাজিল ডিগ্রি পাস করে বের হয়ে সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে যাহা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। দক্ষিণাঞ্চলে ইসলামী শিক্ষা প্রচারের জন্য  ঐতিহ্যবাহী মাদরাসাটিতে আধুনিক মানের ভবন, বিজ্ঞানাগার, ছাত্রাবাস না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের ভাঙাচোরা টিনশেড শ্রেণিকক্ষে খুব কষ্ট করে পাঠদান করতে হয়। বর্তমানে অর্থের অভাবে মাদরাসা গৃহ/ছাত্রাবাস নির্মাণ/সংস্কারের কাজ বন্ধ রয়েছে। মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম রুহুল আমিন খান  বলেন ভবনের অভাবে ১০০০ ছাত্রছাত্রীকে ঠিকমতো পাঠদান করানো যাচ্ছে না। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেন মাদরাসাটি অতিপ্রাচীন এ মাদরাসা থেকে উপকূলীয় দক্ষিণ এলাকায় ইসলামী শিক্ষা প্রচার করে আসছে। মাদরাসাটিতে সরকারিভাবে আধুনিক মানের ভবন, বিজ্ঞানাগার, ছাত্রাবাস নির্মাণ করা জরুরিভাবে প্রয়োজন। এ ভবনগুলো নির্মিত হলে মাদরাসাটি ইসলামী শিক্ষা প্রচারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
 তিনি মাদরাসাটিতে ভবনগুলো নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর