× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবজাতকসহ পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়লেন মা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

৪ দিন বয়সী পুত্রশিশুকে নিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক মা। পাঁচ তলার ওপর থেকে প্রথমে শিশুটিকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয় নিচে। এরপর লাফিয়ে পড়েন মা সীমা আক্তার (২৫)। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের পুরাতন জেল রোডে সংঘটিত এ ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে শহরে। ফুটফুটে একটি শিশুর এমন মৃত্যুতে চোখের জল সংবরণ করতে পারেননি কেউ। নিহত সীমা সদর উপজেলার ঘাটিয়ার গ্রামের প্রবাসী মনির মিয়ার স্ত্রী। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সীমাকে গত ১৬ই অক্টোবর পরিবারের লোকজন বাচ্চা প্রসব করার জন্য লাইফ কেয়ার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে সে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল তার। তার আগেই পাশের দি ল্যাব এইড হাসপাতালের ছাদে উঠে প্রথমে নবজাতক ফেলে দিয়ে পরে নিজে আত্মহত্যা করেন সীমা। সীমার লাফিয়ে পড়ার প্রস্তুতি দেখে নিচ থেকে অনেকে চিৎকার করে লাফ দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই লাফিয়ে পড়েন সীমা। শিশুটিকে ফেলে দেয়ার সময় খেয়াল করেনি কেউ। পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে সীমা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।  

আখাউড়া উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে সীমা। তার স্বামী লেবানন প্রবাসী মনির হোসেন। এক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার  রাতে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কয়েক দফা ঝগড়া হয় সীমার। সন্তান জন্মের পর শ্বশুরবাড়ির কেউ দেখতে না আসা নিয়ে এই ঝগড়া হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন সীমার মা রেহেনা বেগম ওরফে ছেলন। মেয়ের সঙ্গে তিনি হাসপাতালেই ছিলেন। তিনি জানান, তরকারি গরম করতে তিনি বেরিয়েছিলেন। ফিরে এসে সীমা ও তাঁর সন্তানকে কক্ষে দেখতে পাননি। এদিক সেদিক খুঁজেছেন। একটু পর মেয়ে ও নাতির মৃত্যুর খবর পান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন-বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন। তাদের ধারণা মেয়েটি কোনো কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে থাকতে পারে। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া এবং হাসপাতালের বিল নিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছিল কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মা এবং সন্তানের লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর