× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মতামত চেয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রকের /বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা নাম বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে

এক্সক্লুসিভ

কলকাতা প্রতিনিধি
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের সব চেষ্টাই কেন্দ্রীয় সরকারের বাধার মুখে পড়ছে বারে বারে। এবারও বাংলা নাম করার সর্বসম্মত প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়ার পর তা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে বেশ কিছুদিন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মতামত জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশের নামের সঙ্গে বাংলা নাম বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ফোরামে দুটি নামের সাদৃশ্য থাকায় জটিলতা তৈরি করতে পারে। ভারত সরকার মনে করছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কে যাতে কোনো আঘাত না লাগে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেই পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মতামত চাওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এর আগেও যখন পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রক এ ব্যাপারে আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করেছিল। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল করতে চান।
তার ইচ্ছে এখন থেকে ‘বাংলা’ নামেই সকলে জানুক এই রাজ্যকে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, রাজ্যের নাম তিনটি ভাষায় তিনরকম হবে। বাংলায় ‘বাংলা’, ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ ও হিন্দিতে হবে ‘বঙ্গাল’। সেই মতো বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করে তা পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজ্যকে জানানো হয়েছিল, তিনটি ভাষাতেই এক ধরনের নাম নির্ধারণ করতে। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই প্রস্তাব মেনে ঠিক করা হয় রাজ্যের নাম হবে ‘বাংলা’। বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি তিনটি ভাষাতেই তা হবে। সেই প্রস্তাবও ফের রাজ্য বিধানসভায় পাস করানো হয়। কিন্তু এবারও কেন্দ্রীয় সরকার টালবাহানা শুরু করেছে বলে নবান্ন সূত্রে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য সরকারের তাগাদা দেয়া চিঠির উত্তরও দেয়নি। তবে নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গেছে, বাংলা নামে আপত্তি উঠতে শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশের নামের সঙ্গে সাজুয্য থাকার কারণে। ভারত সরকার এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো বিতর্কের সূত্রপাত হোক তা চাইছে না বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। আর নাম পরিবর্তনের বিষয়টি অনেক স্তর অতিক্রম করে কার্যকর করা হয়। প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নোট পাঠাবে মন্ত্রিসভার কাছে। সেখানে অনুমোদিত হয়ে তা খসড়া বিল আকারে পাঠানো হবে রাজ্য বিধানসভায় অনুমোদনের জন্য। পরে সেটি সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল আকারে পাস করানো হবে। তারপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর নাম পরিবর্তন কার্যকর হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর