চট্টগ্রামে পৌছেছে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও গিটারের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের লাউঞ্জ থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে আসেন স্বজনরা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এ সময় আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ গ্রহণ করেন। শাহ আমানত বিমান বন্দরে কর্মরত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুপারভাইজার শওকত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শওকত হোসেন আইয়ুব বাচ্চুর নিকট আত্মীয় বলেও জানান।
তিনি জানান, শনিবার সকালে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ ইউএস বাংলার একটি বিমানে করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আনা হয়। বিমান বন্দরের প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিয়ে চট্টগ্রামের পূর্ব মাদারাবাড়ি নানার বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন স্বজনরা। সেখানেই শৈশবের কেটেছে শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর।
স্বজনদের মধ্যে আইয়ুব বাচ্চুর অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা প্রবাসী দুই সন্তান ফাইজুস সাবরা ও তাইজুস আনাফসহ ২৫ জনের একটি দল একই বিমানে চট্টগ্রামে আসেন।
স্বজনছাড়াও চট্টগ্রামের দুই শতাধিক ভিআইপি লোকজন মরদেহ নিতে বিমান বন্দরে আসেন। বিমান বন্দরের বাইরেরও শত শত গাড়ি অপেক্ষায় ছিলেন। মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ির মিছিলে পরিণত হয়েছে।
আইয়ুব বাচ্চুর মামা আবদুল আলীম জানান, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ফটক থেকে সড়কের দু‘পাশে অসংখ্য মানুষ দাড়িয়ে আছে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ দেখতে। ফলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ভক্তদের সরিয়ে যানজট নিরসনের চেস্টা করছে।
তিনি বলেন, নানার বাড়িতে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ এক নজর দেখবেন স্বজনরা। সেখান থেকে বাদ আছর চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে নেওয়া হবে তার মরদেহ। সেখানে জানাজা শেষে পৈত্রিক বাড়ি নগরীর বাইশ মহল্লার চৈতন্য গলির পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হবে। কবরস্থানে মায়ের কবরের বাম পাশে তার জন্য কবর প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বৃহ¯পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দ্বিতীয় জানাজা হয় তার গানের স্টুডিও মগবাজারে এবি কিচেন এর সামনে। এরপর তৃতীয় জানাজা হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ের সামনে।