সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয়ার পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সৌদি আরবের ব্যাখ্যাকে আমি গ্রহণযোগ্য মনে করছি। সৌদি সরকারের প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, এই পরিস্থিতিতে সৌদি আরব ভাল একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ডনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবকে পরম বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, যা ঘটেছে তা গ্রহনযোগ্য নয়। ট্রাম্প জানান, সৌদি আরবের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের আওতায় সেখানে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেও সৌদির দায় স্বীকারকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাসোগি হত্যা নিয়ে তদন্তে যথাযথ স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও দোষীদের বিচারে সৌদি আরবের উপর চাপ অব্যাহত থাকবে।
তবে তারা সৌদির বয়ান শুনেছে ও স্বাগত জানিয়েছে।
এছাড়াও খাসোগির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি খাশোগির হত্যাকাণ্ডে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। গুতেরেস বলেন, সবরকম প্রভাবের বাইরে থেকে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে হবে।
এদিকে ডনাল্ড ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউজ খাসোগি হত্যা নিয়ে সৌদি আরবের ব্যাখ্যাকে স্বাগত জানালেও খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই অনেকে সৌদির কঠোর সমালোচনা করছেন। দেশটির অনেক আইন প্রনেতাই সৌদি আরবের দাবিকে অগ্রহনযোগ্য বলে তা নিয়ে তাদের সন্দেহ প্রকাশ করেছে। মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এক টুইটারে লিখেছেন, প্রথমে বলা হলো খাসোগি কনস্যুলেট ত্যাগ করেছেন ও তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সৌদি আরবের কোনো হাত নেই। এখন বলা হচ্ছে, মোহাম্মাদ বিন সালমানের (এমবিএস) অজ্ঞাতসারেই কনস্যুলেটের ভেতরে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। নতুন এ ব্যাখ্যা মেনে নেয়া যায় না। আরেক সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল সিএনএনকে বলেছেন, সৌদি আরবের এ ব্যাখ্যার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমি এ হত্যাকান্ডের আন্তর্জাতিক তদন্ত চাই। এছাড়া, প্রতিনিধি পরিষদে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি টেড লিউ সৌদি আরবের দাবিকে অর্থহীন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, মারামারিতে নিহত হলে খাসোগির মৃতদেহ করাত দিয়ে কেটে টুকরা করার প্রয়োজন ছিল না।