বিজয়া দশমীতে রাবন পোড়ানো দেখতে আসা মানুষের ভিড়ের উপর দিয়ে চলে গেলো ট্রেন। শুক্রবার ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসারের চৌরি বাজার এলাকায় এমনই এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬২ জন। আহত হয়েছেন আরো ৪০ জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননা অনুযায়ী, ওই রেল লাইনের পাশেই রাবনের কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছিল। এতে সৃষ্ট আগুনের ফুলকির কারণে দর্শনার্থীরা পার্শ্ববর্তী রেল লাইনে উঠে যায়। এমন সময় দুই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসে। ফলে অনেকেই নিরাপত দুরুত্বে সরে যেতে ব্যর্থ হয়।
পাঞ্জাবের পুলিশ প্রধান সুরেষ অরোরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা ৫৯ জনের মৃতদেহ নিশ্চিত করেছি। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কর্মকর্তারা এখনো মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে পুলিশ কমিশনার এসএস স্রিভাস্তাভা জানিয়েছেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত ৫৮ টি লাশ উদ্ধার করেছে।
বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া বলেন, প্রচণ্ড হৈচৈ-এর কারণে কেউ ট্রেনের শব্দ শুনতে পায়নি। আবার দুর্ঘটনার পরেও ট্রেন না থেমে চলমান ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে কোনো হুইসেল দেয়া হয়নি। শত শত মানুষ তখন রাবন পোড়ানো দেখতে ব্যস্ত। তাই তারা ট্রেনের দিকে নজর দিতে পারেনি। তিনি প্রশ্ন করেন, সরকার কেনো রেল লাইনের এত কাছে রাবন পোড়ানোর অনুমতি দিল? এ দুর্ঘটনার পর টুইটারে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, ভারতে রেল লাইনে দুর্ঘটনা অত্যন্ত সাধারণ একটি বিষয় হলেও শুক্রবারের দুর্ঘটনাটি ছিল গত কয়েক বছরের মধ্যে সবথেকে প্রাণঘাতী। এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের পূর্বাঞ্চলে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন।