× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না: ফখরুল

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২০, ২০১৮, শনিবার, ২:৩৩ পূর্বাহ্ন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার আয়োজনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে দেশনেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে কেন? বিরোধী দলের নেতাদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে কেন? উদ্দেশ্য হল রাজনীতিকে ধ্বংস করা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে কারণ তিনি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বহুদলীয় গণতন্ত্র তিনি প্রতিষ্ঠা করতে চান।

ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীকে মুক্তি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসী জেগে ওঠবে। রাস্তায় নামবে। এজন্য সরকার তাকে মুক্তি দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের টার্গেট দেশনেত্রীকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখা, তারেক রহমানকে দূরে রাখা, ২০ দলকে দূরে রাখা।
কারণ তারা জানে খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসলে আওয়ামী লীগের কোন অস্তিত্ব থাকবে না।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে একটি জাতীয় ঐক্য গঠন করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা দাবি জানিয়েছি, নিরোপেক্ষ নির্বাচনের। এই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। না ভাঙলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। একতরফা নির্বাচনের বিপক্ষে। আর বাকী কমিশনারগুলো একতরফা নির্বাচন করতে চান। তাদের নিজেদের মধ্যেই সমন্বয় নেই। আজকে নির্বাচন কমিশনে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এটাই রাষ্ট্রের সঙ্কট। বর্তমান কমিশন যদি সব কিছু উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, সেটা নিঃসন্দেহে অপরাধ হবে। রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ।

বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার এতো দুঃশাসন করেছে যে, তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়। কেউ বলে ক্ষমতা গেলে রোহিঙ্গা হয়ে যেতে হবে। কেউ বলে লাখ লাখ লোক মারা যাবে। এতো ভয় কেন? কি এমন অপরাধ করেছেন আপনারা? তিনি বলেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না। প্রতিশোধের রাজনীতিও বিশ্বাস করি না। সরকারি দলকে আশ্বস্ত করতে চাই। আপনারা ভয় পাবেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।

জাগপার সহ সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, শফিউল আলম প্রধানের ছেলে রাশেদ প্রধান প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর