× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় ৪৩ দস্যুর আত্মসমর্পণ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ও চকরিয়া প্রতিনিধি
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে ৬ জলদস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ৪৩ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় তারা ৯৪টি অস্ত্র এবং ৭ হাজার ৬৩৭টি গুলি জমা দেন। শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের আয়োজনে মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন ওই ৬ বাহিনীর জলদস্যুরা। এতে সভাপতিত্ব করেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।
আত্মসমর্পণকারী ৬টি বাহিনী হলো- মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার আলোচিত ‘আনজু, রমিজ, নুরুল আলম প্রকাশ কালাবদা, আইয়ুব, জালাল ও আলাউদ্দিন’ নামের জলদস্যু বাহিনী। বেসরকারি টিভি যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক মহসিন-উল-হাকিম ও চ্যানেল ২৪ এর আকরাম হোসেনের মধ্যস্থতায় তারা আত্মসমর্পণ করেন। এর আগেও সাংবাদিক মহসিন-উল-হাকিমের মধ্যস্থতায় সুন্দরবনের প্রায় ২০টি জলদুস্য বাহিনী আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। তারা ওই দুই সাংবাদিকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আত্মসমর্পণের জন্য লিখিত আবেদন করেন।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার আলোচিত জালাল বাহিনীর ১৫ জন ও ২৯টি অস্ত্র, আনজু বাহিনীর ১০ জন ও ২৪টি অস্ত্র, রমিজ বাহিনীর দু’জন আটটি অস্ত্র, নুরুল আলম প্রকাশ কালাবদা বাহিনীর ছয়জন ও ২৩টি অস্ত্র, আইয়ুব বাহিনীর ৯ জন ও ৯টি অস্ত্র ও আলাউদ্দিন বাহিনীর একজন একটি অস্ত্রসহ সব জলদুস্য বাহিনীর ৭ হাজার ৬৩৭টি গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন। তারা বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সিনিয়র সাংবাদিক মহসিন-উল-হাকিমের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আত্মসমর্পণের জন্য লিখিত আবেদন করেন।
জলদুস্য ৬টি বাহিনীর মধ্যে অসংখ্য ভারী অস্ত্র জমা দেন।
এর মধ্যে একটি বেলজিয়ামের তৈরি এসএমজি, ২২বোর রাইফেল দুইটি, রিভলবার একটি, দেশীয় তৈরি দুইটি পিস্তল, দেশি-বিদেশি একনলা বন্দুক ৫২টি, দুই নলা দুইটি, ওয়ান শুটারগান ১৯টি, থ্রি কোয়ার্র্টর গান ১৫টি অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সুন্দরবনে অসংখ্য দস্যুবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছেন। সব আত্মসমর্পণকারীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। কক্সবাজারের মধ্যে মহেশখালীতে উন্নয়নের মহা জোয়ার চলছে। তাই এখানে কোনো জলদস্যু-সন্ত্রাসী বাহিনী থাকতে পারবে না। আর যারা দস্যুতায় অস্ত্রসহ অন্য সহযোগিতা দেন এবং যারা এই দস্যুদের ব্যবহার করেন, তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জেনেছি এখানে বাহিনী-বাহিনী যুদ্ধ চলে। একটা বাহিনীকে ঘায়েল করতে আরেকটি বাহিনীর জন্ম নেয়। আমি কঠোরভাবে বলতে চাই, এখানে কোনো বাহিনী থাকতে পারবে না। দুই দ্বীপ উপজেলায় যারা সাগরে মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে। আজ যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’
আত্মসমর্পণকারী বাহিনীর কালাবদা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, ‘আসলে নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে দস্যু বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম। দুইজন সাংবাদিকের আহ্বান র‌্যাব’র সহযোগিতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। তাই আত্মসমর্পণ করেছি। সেইজন্য সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, র‌্যাব’র মিডিয়া বিভাগের কমান্ডার মুফতি মাহমুদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর