সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকার পোড়াবাড়ি মাঝিপাড়া মহল্লায় হামলা চালিয়ে দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাঝিপাড়া এলাকায় হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মো. সুজনের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে এ সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বিপ্লব রাজবংশী, মধু চক্রবর্তী ও দুর্গা রানীর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। এছাড়া স্বপন রাজবংশী (২৬), কৃষ্ণ রাজবংশী (২৩) তপু রাজবংশী ও নিখিল রাজবংশীসহ অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, শুক্রবার রাতে পোড়াবাড়ি মাঝিপাড়া এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বেদেপাড়া এলাকার কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে কিছু লোক ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাঝিপাড়া এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করে এবং কমপক্ষে ১০ ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করে। আহত বিপ্লব রাজবংশী জানান, স্থানীয় মো. সুজন এর নেতৃত্বে সকালে ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, চাপাতি, দা-বঁটিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা আমাদের মারধর, দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।