একটা সময় জিম্বাবুয়ে ছিল বাংলাদেশের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের সঙ্গে ক্রিকেট মানেই ছিল মর্যাদার লড়াই। কিন্তু যতই সময় গড়িয়েছে ততই বদলেছে পরিস্থিতি। এখন বাংলাদেশকে হারানো জিম্বাবুয়ের জন্য বড় জয়। আর টাইগারদের হার মানে লজ্জা। ২০১০ এরপর থেকে এদেশে এসে টানা ১৩ ওয়ানডে ম্যাচে হেরেছে তারা। এমনকি মূল সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে হেরেছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। বলতে গেলে এখন দুই দলের লড়াই মানে বাংলাদেশ ফেভারিট।
কিন্তু জিম্বাবুয়ের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা কিন্তু নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন। সেই ২০০৪ থেকে তিনি বাংলাদেশ সফরে আসেন। বলতে গেলে টাইগারদের বিপক্ষে তার দারুণ সাফল্য। এখনো তিনি যে ভয় ধরিয়ে দিতে পারেন তার অন্যতম প্রমাণ প্রস্তুতি ম্যাচে তার সেঞ্চুরি। হয়তো সেই কারণেই নিজের দলকেই তিনি এগিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের চেয়ে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। আমরা তাদের বিপক্ষে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছি। অতএব, এখনো আমাদের সুযোগ আছে। আর আপনি যদি ফেভারিটের ট্যাগের কথা বলেন, আমি এটা জিম্বাবুয়ের ওপরেই রাখবো।’
আজ মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে দুপুর আড়াইটাই মুখোমুখি হবে দুই দল। জিম্বাবুয়ে সব শেষ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজে খেলে এখানে এসেছে শূন্য হাতেই। দলের প্রায় বেশির ভাগ ক্রিকেটারই অভিজ্ঞ। এমনকি দলে ফিরেছেন সদ্য সমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের বাইরে থাকা সিকান্দার রাজাও। তাদের জন্য বড় সুবিধা হলো বর্তমান স্কোয়াডের ৬ জনই বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএলে খেলেন। কাজেই মাঠ ও প্রতিপক্ষ নিয়ে তারা ভালোভাবেই জানেন। দল নিয়ে মাসাকাদজা বলেন, ‘সবাইকে দলে পাওয়াটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি প্লাস পয়েন্ট এবং একটি ইতিবাচক দিকও বটে। যদিও ইনজুরির কারণে গ্রায়েম ক্রেমার নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে সবচাইতে বেশি ম্যাচ খেলেছে। ফলে আমরা দলটির সঙ্গে এবং কন্ডিশনের সঙ্গে বেশ পরিচিত। অতএব, তাদের বিপক্ষে আমাদের দারুণ সুযোগ আছে। আমার মনে হয় সিরিজটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’