× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইছামতিতে দুই বাংলার প্রতিমার বিসর্জনে উন্মাদনার ছোঁয়া

এক্সক্লুসিভ

কলকাতা প্রতিনিধি
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী ছিল গত শুক্রবার। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও পারিবারিক পূজার বেশির ভাগ প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। দুর্গাদেবীর বিসর্জনে বিদায়ের সুর সকলকে বিমর্ষ করেছে। সকলের অপেক্ষা আগামী বছরের। এবারও যথারীতি উত্তর ২৪ পরগণার টাকিতে দুই বাংলার সীমান্ত রেখা বয়ে গিয়েছে যে ইছামতী নদীর মাঝখান দিয়ে সেই নদীতেই দুই পারে বিসর্জন ঘিরে শুক্রবার দুপুর থেকেই ছিল উৎসাহী মানুষের ভিড়। বিসর্জন উপলক্ষে আগের মতো দুই বাংলার মিলনের ঐতিহ্যে ইতি টানা হলেও এবারও দুই বাংলার মানুষের মধ্যে প্রবল উন্মাদনা ছিল। ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিল দুই বাংলার মানুষ। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গত বছরের মতো এ বছরও প্রশাসনের ঘোষণা ছিল টাকির ইছামতি নদীতে দুর্গা প্রতিমা সন্ধ্যার আগেই বিসর্জন হবে।


আর যে যার সীমান্তে প্রতিমা বিসর্জন দেবে। সেই মতোই নিজের নিজের দিকের অংশে নিজ নিজ দেশের পতাকা লাগিয়ে প্রতিমা নিয়ে নৌকা এগিয়ে গিয়েছে বিসর্জনের জন্য। ওপারের নৌকাকে এপারে আসতে যেমন দেয়া হয়নি তেমনি এপারের নৌকাও ওপারে যায়নি। তবে তারই ফাঁকে একে অপরের প্রতি বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেন নি। কয়েক শ’ নৌকা এই প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নিয়েছিল। ইছামতি নদীর মাঝ বরাবর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী স্পিড বোটে যৌথ নজরদারি চালিয়েছে। ইছামতিতে বিসর্জন দেখা ছাড়াও দুই বাংলার মিলনের যে চেহারা বহুদিন ধরে চালু ছিল তা গত কয়েক বছরে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আক্ষেপের সুর শোনা গেছে। চারদিকের প্রবল উন্মাদনার মাঝেও অনেককেই বলতে শোনা গেছে, দুই বাংলার নৌকা যদি একসঙ্গে আগের মতো মিশতে পারতো তবে মিলন উৎসব হতো আরো পরিপূর্ণ।

ইছামতির ঘাটে এদিন সকাল থেকেই ছিল ব্যস্ততা। বিকালের আগেই আসতে থাকে দুর্গা প্রতিমা। রাজবাড়ীর প্রতিমা এসেছিল রীতিমতো ২৬ জন বেহারার কাঁধে চড়ে। রাজকীয়ভাবেই দেয়া হয় বিসর্জন। বিসর্জনের পালা শেষ হলেও নাচানাচির মাধ্যমে উৎসবের রেশকে ধরে রাখতে চেষ্টায় মেতে ছিলেন সকলে। তবে উমার বিদায়ে অনেকের চোখই ছলছল করে উঠেছে। এদিকে কলকাতার সার্বজনীন পূজার অধিকাংশ প্রতিমা শুক্রবার বিসর্জন হয়নি। আগামী ২৩শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজা কার্নিভালে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেষ হবে বিসর্জনের পর্ব। রেড রোডে আয়োজিত এই কার্নিভালে অংশ নেবে ৭৫টি সেনা পূজার প্রতিমা। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এই কার্নিভালে হাজির থাকবেন বিদেশি পর্যটক ও কূটনীতিবিদরাও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর