গোলাপগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি নিশ্চিত করতে গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে বসে থাকা খন্দকার মোশতাকের দোসরদের গভীর ষড়যন্ত্রের জাল ভোটের যে মহোৎসব হয়েছে তা সরকার ও দলের জন্য বিব্রতকরও বটে বলে মন্তব্য করেছেন নৌকার পরাজিত প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলু। নির্বাচন পরবর্তী এক সভায় তিনি এ মন্তব্যকালে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। ৩রা অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে পাপলু বলেন- ‘পরাজিত হওয়া কষ্টকর, হোক তা যুদ্ধে বা খেলায়। কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে বিজয় লজ্জার। উপ-নির্বাচনে আমার বিজয়ও নিশ্চিত ছিল। শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছিলেন। দলের সকলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য। কিন্তু সে নির্দেশ পালন হয়নি।’ তিনি বলেন- ‘অতীতের মতো এবারো নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের কিছু নেতা।
তারা প্রকাশ্যেই বিএনপি ধারার রাজনীতির প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। তারপরও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটে যখন দিন শেষে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তখন চিহ্নিত একজন কেন্দ্রীয় নেতার মদতে প্রশাসনকে বাধ্য করে গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগের তথাকথিত নেতারা যে ঘৃণ্য ন্যক্কারজনক অবস্থান নিয়ে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিলেন তা বর্তমান সরকার ও দলের জন্য অশনি সংকেত।’ নির্বাচন পরবর্তী এক কর্মীসভায় সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু এসব কথা বলেন। শুক্রবার রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জে তার বাসায় কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মিসভায় তিনি গোলাপগঞ্জ পৌরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান।